সারা দেশে অন্তত ৪৭৬টি ঘটনায় ১ হাজার ৭৩ গণমাধ্যমকর্মী বিভিন্নভাবে ভুক্তভোগী হয়েছেন। জুলাই গণ অভ্যুত্থানের পর গত বছরের ৫ আগস্ট থেকে চলতি বছরের ১ নভেম্বর পর্যন্ত এসব ঘটেছে। এর মধ্যে হামলা, মামলা, হত্যা, হুমকি, হয়রানি, কারাবাস ও চাকরিচ্যুতির মতো ঘটনা রয়েছে। গতকাল ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস-২০২৫ উপলক্ষে টিআইবি আয়োজিত ‘কর্তৃত্ববাদ পতন-পরবর্তী বাংলাদেশের গণমাধ্যমের পরিস্থিতি’ শীর্ষক আলোচনায় এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন টিআইবির আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন ডেপুটি কো-অর্ডিনেটর জাফর সাদিক।
১৫ মাসের তথ্য বিশ্লেষণে জানানো হয়, এ সময়ের মধ্যে ২৫৯টি ঘটনায় ৪৫৯ গণমাধ্যমকর্মী হামলার শিকার হয়েছেন। ৮৯টি ঘটনায় ৯৯ জনকে নানাভাবে হুমকি দেওয়া হয়েছে এবং ৩০টি ঘটনায় ৭০ জন হয়রানির শিকার হয়েছেন। ১৯টি ঘটনায় অন্তত ২৭ সাংবাদিককে আটক করা হয়েছে। ৬ সাংবাদিক হত্যার শিকার হয়েছেন। সাংবাদিকদের পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলা বা বাড়িঘর ধ্বংসের মতো ৯টি ঘটনা ঘটেছে, যেখানে ভুক্তভোগী ১৭ জন। এ ছাড়া পাঁচটি ঘটনায় ১৮৯ সাংবাদিককে চাকরিচ্যুত, দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি কিংবা বরখাস্ত করা হয়েছে। মূল প্রবন্ধে জাফর সাদিক বলেন, কর্তৃত্ববাদের পতনের পর আশা করা হয়েছিল, গণমাধ্যমের জন্য উন্মুক্ত পরিবেশ ও অবাধ সাংবাদিকতার পথ তৈরি হবে। কিন্তু বিগত ১৫ মাসের বাস্তবতা ভিন্ন কথা বলছে।
বিশ্ব সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা সূচকে বাংলাদেশ ১৬ ধাপ এগিয়ে ১৪৯তম অবস্থানে এলেও এতে খুব বেশি আশাবাদী হওয়ার সুযোগ নেই বলে মনে করে টিআইবি। সংস্থাটির মতে, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং আগে বিরাজমান নেতিবাচক পরিস্থিতি থেকে এখনো পুরোপুরি উত্তরণ ঘটেনি।
কিছু ক্ষেত্রে সম্ভাবনা দেখা দিলেও তা নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে।