জামায়াতে ইসলামীসহ আট দল ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনে ‘ওয়ান বক্স পলিসি’তে আসন সমঝোতার ভিত্তিতে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অর্থাৎ সমঝোতার ভিত্তিতে জোটের পক্ষ থেকে এক আসনে একক প্রার্থী দেওয়া হবে। আট দলের আসন সমঝোতার আলোচনায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সোমবার রাতে পল্টনে খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত আন্দোলনরত আট দলের লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এবং আট দলের লিয়াজোঁ কমিটির সমন্বয়ক ড. হামিদুর রহমান আযাদ। তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘আন্দোলনের শরিক আট দলের আসন সমঝোতার বৈঠকে কিছু পলিসি নির্ধারণ করা হয়েছে, এ পলিসির মধ্যে প্রার্থী ঠিক করা হবে। যত দ্রুত সম্ভব প্রার্থী ঠিক করার চেষ্টা করছি আমরা। তফসিলের আগেই প্রার্থী ঠিক করার জন্য চেষ্টা করছি।’
আযাদ ছাড়াও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির মহাসচিব মাওলানা মুসা বিন ইযহার ও সিনিয়র নায়েবে আমির আবদুল মাজেদ আতহারী, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা ইউসুফ সাদিক হক্কানী, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের নায়েবে আমির মুজিবুর রহমান হামিদী, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহসভাপতি ও দলীয় মুখপাত্র ইঞ্জিনিয়ার রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির সভাপতি অ্যাডভোকেট এ কে এম আনোয়ারুল ইসলাম চান ও মহাসচিব নিজামুল হক নাঈম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম সম্পাদক আশরাফুল আলম ও ফজলে বারী মাসউদ। এদিকে সোমবারের বৈঠকে আরও পাঁচ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। সেগুলো হচ্ছে ১. জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অনুষ্ঠেয় গণভোটে ‘হ্যাঁ’-এর পক্ষে জনমত গঠনের লক্ষ্যে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশব্যাপী প্রচার চালানো হবে। ২. জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর তফসিল দেখে শীর্ষ নেতাদের বৈঠকে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ। ৩. মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আট দলভুক্ত প্রতিটি দলের পৃথক কর্মসূচি পালন। ৪. জোটভুক্ত দলগুলোর কার্যক্রম বেগবান করতে জেলা/উপজেলাভিত্তিক লিয়াজোঁ কমিটি গঠন।