ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নির্বাচনি অভিযোগ অনুসন্ধান কমিটি গঠনে প্রধান বিচারপতির সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদও সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। গতকাল সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাতের পর সিইসি সাংবাদিকদের এসব কথা জানান। প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটে প্রধান নির্বাচন কমিশনার সুপ্রিম কোর্টে আসেন। এ সময় সিইসিকে স্বাগত জানান সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান সিদ্দিকী। সাক্ষাৎ শেষে ২০টা ৪০ মিনিটে তিনি সুপ্রিম কোর্ট ত্যাগ করেন। গাড়িতে ওঠার আগে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে কী আলোচনা হয়েছে- গণমাধ্যমকর্মীদের এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এসেছি। তিনি এ মাসে অবসরে যাবেন। আমরা এক সঙ্গে কাজ করেছি। সে জন্য তাঁর সঙ্গে বিদায়ি সাক্ষাৎ করতে এসেছি।’
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘তাঁরা (বিচার বিভাগ) ইলেক্টোরাল ইনকোয়ারি কমিটি (নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটি) ডিপ্লয় করবেন। আমাদের তফসিল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে এ কাজটা যাতে তিনি (প্রধান বিচারপতি) ত্বরান্বিত করেন সে বিষয়ে তাঁকে অনুরোধ জানিয়েছি। তিনি যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছেন এবং নেবেন, কোনো অসুবিধা হবে না বলে আশ্বস্ত করেছেন।’ কোন মামলা নিয়ে আলোচনা হয়েছে কি না-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মামলা নিয়ে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে কোনো কথা হয়নি। নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির জন্য কতজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট চেয়েছেন সিইসি-এ বিষয়ে জানতে চাইলে সুপ্রিম কোর্টের একটি নির্ভযোগ্য সূত্র বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, ‘কোনো সংখ্যার বিষয়ে আলোচনা হয়নি। নির্বাচন কমিশন তাদের চাহিদা সরকারকে জানাবে, সরকার আমাদের ফরোয়ার্ড করবে। সেই অনুযায়ী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হবে।’