রাজশাহীর তানোরে গভীর নলকূপের ৫০ ফুট গভীরতা থেকে দুই বছরের শিশুকে উদ্ধারে ‘মিশন কোয়েলহাট’ পরিচালনা করছে ফায়ার সার্ভিস। বুধবার দুপুরে শিশু সাজিদ গভীর নলকূপে পড়ে যাওয়ার ঘটনায় এ অভিযান শুরু হয়েছে।
জানা গেছে, দুপুরে মা রুনা খাতুনের পেছনে পেছনে হাঁটছিল শিশু সাজিদ। হঠাৎ পেছনে ফিরে মা দেখতে পান সাজিদ নেই। এরপর গভীর নলকূপের গর্তে তার কান্না শুনতে পান। দুপুর ১টার দিকের এই ঘটনায় খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে।
বেলা ৩টার দিকে গর্তের ভেতরে অক্সিজেন পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। চারটার দিকে ক্যামেরা পাঠিয়ে শিশুটির অবস্থান পর্যবেক্ষণ করতে থাকে ফায়ার সার্ভিস। তারপরও শিশুটিকে উদ্ধার করা সম্ভব না হওয়ায় বিকেল ৫টা থেকে স্থানীয়রা কোদাল দিয়ে মাটি কেটে সুড়ঙ্গে যাওয়ার পথ তৈরি করতে শুরু করেন। ৫টার কিছু পরে এস্কেভেটর মেশিন লাগিয়ে শুরু হয় মাটি কাটা।
রাজশাহী ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক দিদারুল আলম জানান, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও তানোর ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট উদ্ধার অভিযানে অংশ নিয়েছে। শিশুটি গভীর নলকূপের ৩৫-৪০ ফুট গর্তে পড়েছে। গর্ত চিকন হওয়ায় উদ্ধারে ৫-৬ ঘণ্টা সময় লাগতে পারে।
ঘটনাস্থলে দেখা গেছে, স্থানীয়রা মোনাজাত করছেন, যাতে শিশুটিকে জীবিত উদ্ধার করা যায়। কোয়েলহাট গ্রামের রইসুল ইসলাম অভিযোগ করেন, কর্তৃপক্ষ পানি সরবরাহের জন্য সরু গর্ত করলেও কোনো চিহ্ন বা ঢাকনা না থাকায় এমন দুর্ঘটনা ঘটেছে।
বিডি-প্রতিদিন/এমই