রাজবাড়ীতে প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ ও প্রদর্শনী-২০২৫ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়েছে। বুধবার (২৬ নভেম্বর) বেলা ১১ টায় জেলার সদর উপজেলা প্রশাসন এবং উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের আয়োজনে জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় প্রাঙ্গণে জেলা প্রশাসক সুলতানা আক্তার এর উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. প্রকাশ রঞ্জন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় জেলা প্রশাসক সুলতানা আক্তার প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে একাধিক খামারী তাদের বক্তব্যে বলেন, রাজবাড়ীতে প্রান্তিক খামারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। পোল্ট্রি ও গরুর খামার করতে অনেক শিক্ষিত তরুণ উদ্যোক্তা এখানে আসেন। পোল্ট্রি ও গরুর খামার কৃষি ভিত্তিক হলেও খামারিদের বিদ্যুৎ বিল দিতে হয় বাণিজ্যিক হারে। এছাড়া কোথায় খামার স্থাপন করা যাবে বাংলাদেশের আইনে সেটি নেই। একজন তরুণ উদ্যোক্তা বাড়ির পাশে খামার স্থাপন করলে পরিবেশ অধিদপ্তর সেখানে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। এছাড়া পশু ও প্রাণি খাদ্যের দাম অনেকে বেড়েছে। যে কারণে খামারিরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। পোল্ট্রি ও গরুর খামারের বিদ্যুৎ বিল কৃষিভিত্তিক বিলের সাথে সংযুক্ত করার দাবি জানান তারা।
জেলা ডেইরী অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন গাজী বলেন, ‘দুই যুগ ধরে গরুর খামার করছি। আমার খামার থেকে দুধ উৎপাদিত হয়। রাজবাড়ীতে বিভিন্ন ছানা ২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এত কম দামে এক কেজি ছানা বিক্রি করা সম্ভব নয়। যারা এগুলো বিক্রি করছেন তারা ভেজাল ছানা বিক্রি করছেন। এক ধরণের ক্যামিক্যাল দিয়ে কম দামে ছানা বিক্রি করায় খামারিরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। এগুলো প্রতিরোধে প্রশাসনের সহযোগিতার প্রয়োজন।’
আলোচনা সভায় জেলা সিভিল সার্জন ডা. এস এম মাসুদ, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মাহবুব উল হক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) শামসুল হক বক্তব্য রাখেন।
এর আগে জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর থেকে একটি র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের কিছু অংশ প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে বেলুন উড়িয়ে সাতদিন ব্যাপি প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ৩০টি স্টল স্থান পায়।
বিডি-প্রতিদিন/জামশেদ