ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরাইলে সরকারি খাল ভরাট করে কালভার্ট নির্মাণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। খালটি উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের ঘাগড়াজোড় গ্রামের হুমায়ুন মেম্বারের বাড়ির সামনে দিয়ে বয়ে গেছে। এটি ঘাগরাজোর গ্রামের অরুয়াইল সড়কের পাশে একমাত্র বড় খাল যা স্থানীয়ভাবে গাং বলে পরিচিত।
এই খালটি দিয়ে বর্ষা মৌসুমে এলাকার জমি, বসতবাড়ি ও রাস্তাঘাটের পানি নিষ্কাশনের প্রধান মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। খালটি ভরাট করে সেখানে এখন ইটের এক মিটার দৈর্ঘ্য ও এক মিটার প্রশস্ত কালভার্ট নির্মাণ করা হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানায়, খালটি দিয়ে গ্রামের বৃষ্টির পানি সরাসরি নদীতে প্রাকৃতিক ভাবেই নেমে যেত। কিন্তু এখন খাল ভরাট করে ছোট কালভার্ট করা হচ্ছে। যা পানি প্রবাহের জন্য অপ্রতুল এবং অকার্যকর। এতে করে পানি সঠিক ভাবে প্রবাহিত না হয়ে এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হবে।
স্থানীয় কৃষক মো. আবুল মিয়া বলেন, বর্ষায় পানি যেভাবে নামে, এত ছোট কালভার্টের ভিতর দিয়ে পানি যেতে পারবে না। ফলে জলাবদ্ধতায় গ্রাম ডুবে যাবে। পরে একসময় খালও সমতল হয়ে যাবে।
আরেক স্থানীয় বাসিন্দা মো. শরিফ বলেন, একসময় এই খাল দিয়ে নৌকা চলাচল করত। পানি থৈথৈ করত খালে। এখন সেই খালটাই ভরাট করে ফেলছে। বর্ষায় হাঁটু কোমড় পানি উঠবে। এতে করে আমাদের গ্রামবাসীদের অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, চুন্টা ইউনিয়ন ৪নং ওয়ার্ডের সদস্য মোঃ হুমায়ুন মেম্বার প্রভাবশালী হওয়ায় পানি উন্নয়ন বোর্ড ও প্রশাসনকে ম্যানেজ করে কালভার্ট নির্মাণের ফলে খালটি বিলীন করার পায়তারা করছেন।
সরাইল উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবুবকর সরকার বলেন, ঘটনাস্থলে সার্ভেয়ারসহ লোকজন পাঠানো হয়েছে। কোনো অনিয়ম পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল