ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় জরুরি মুহূর্তে রক্তের চাহিদা বেড়ে গেছে। বিশেষ করে ডেঙ্গু রোগীদের প্লাটিলেট কমে যাওয়ায় দ্রুত রক্তপ্রাপ্তি অনেক পরিবারের জন্য দুশ্চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এমন প্রেক্ষাপটে কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের পাখিমারা বাজারে বসুন্ধরা শুভসংঘ কুয়াকাটা পৌর শাখার উদ্যোগে হালনাগাদ ব্লাড ডোনার তালিকা প্রণয়নের কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত এই মানবিক উদ্যোগে স্থানীয় ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থী ও চাকরিজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে নিজেদের রক্তের গ্রুপের তথ্য প্রদান করেছেন।
উদ্বোধনকালে সভাপতি মো. সাইদুর রহমান বলেন, ‘ডেঙ্গু পরিস্থিতিতে জরুরি সময়ে রক্তদাতা পাওয়া অনেক পরিবারের জন্যই বড় চ্যালেঞ্জ। এই তালিকার মাধ্যমে দ্রুত নিকটস্থ রক্তদাতার সঙ্গে যোগাযোগ সম্ভব হবে। আমরা নিয়মিত তালিকাটি হালনাগাদ রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছি।’
পাখিমারা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. আইয়ুব শরীফ এই উদ্যোগকে প্রশংসা করে বলেন, ‘একটি বাজারকে রক্তসেবায় সক্রিয় কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা সত্যিই প্রশংসনীয়। আমরা সর্বাত্মক সহযোগিতা অব্যাহত রাখব।’
কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন নীলগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. সোহরাব হোসেন, মোয়াজ্জেমপুর আলিম মাদরাসার প্রভাষক মো. দেলোয়ার হোসেন, সহ-সভাপতি কাজী সাঈদ, সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক কাওসার ও কার্যকরী সদস্য ইব্রাহিম ওয়াহিদসহ আরও অনেকে।
কার্যকরী সদস্য ইব্রাহিম ওয়াহিদ জানান, অনেকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাদের ব্লাড গ্রুপের তথ্য দিয়েছেন। কয়েকজন নিয়মিত রক্তদাতা হিসেবে নাম অন্তর্ভুক্ত করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন, যা ভবিষ্যতে রক্তসেবা কার্যক্রমকে আরও শক্তিশালী করবে।
সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘তালিকা তৈরি শেষে তা স্থানীয় হাসপাতাল, ওষুধের দোকান ও অ্যাম্বুলেন্স সেবাদাতাদের সঙ্গে শেয়ার করা হবে, যাতে প্রয়োজনে দ্রুত যোগাযোগ সম্ভব হয়।’
সহ-সভাপতি কাজী সাঈদ জানান, জরুরি মুহূর্তে রক্তদাতা নিশ্চিত করতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে ব্লাড ডোনারদের প্রশিক্ষণ, সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি বার্ষিক সম্মাননা প্রদানের পরিকল্পনাও রয়েছে।
স্থানীয়রা মনে করছেন, এই ব্লাড ডোনার তালিকা পাখিমারা বাজারকে মানবিক সেবার কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলবে এবং জরুরি মুহূর্তে মানুষের জীবন বাঁচাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
বিডি-প্রতিদিন/আশফাক