বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (ব্রাকসু) নির্বাচনে বারবার তফসিল পরিবর্তন ও প্রশাসনিক জটিলতার অভিযোগ এনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন অধ্যাপক ড. মো. শাহজামান।
বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন।
পদত্যাগপত্রে ড. শাহজামান উল্লেখ করেন, ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ১১৭তম (জরুরি) সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাকে ব্রাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে মনোনীত করা হয়। তবে ২৫ নভেম্বর তিনি দায়িত্ব পালনে অপারগতা জানিয়ে অব্যাহতি চেয়েছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তা না মঞ্জুর করায় ৩০ নভেম্বর থেকে তিনি পুনরায় দায়িত্ব পালন শুরু করেন।
ড. শাহজামান অভিযোগ করেন, ভোটার তালিকা হালনাগাদে প্রশাসনের সরবরাহকৃত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে কমিশনকে তিনবার চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করতে হয়েছে এবং দুইবার তফসিল পরিবর্তন করতে হয়েছে। “বারবার তফসিল পরিবর্তন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা ও প্রহসনের সামিল”—পদত্যাগপত্রে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি আরও জানান, নির্বাচনের তারিখ, ডোপ টেস্ট ও শীতকালীন ছুটি নিয়ে বিভিন্ন পক্ষের দ্বন্দ্ব এবং কমিশনের সঙ্গে অশালীন আচরণ কমিশনের নিরপেক্ষভাবে কাজ করার ক্ষেত্রে বড় প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসব কারণেই তিনি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধও করেছেন তিনি।
উল্লেখ্য, প্রথম তফসিল অনুযায়ী ব্রাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল ২৯ ডিসেম্বর। পরে ২০ নভেম্বর তা পরিবর্তন করে ২৪ ডিসেম্বর নির্ধারণ করা হয়। পরবর্তী সময়ে ৩ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র বিতরণ ও জমাদানের তারিখও সংশোধন করা হয়। সর্বশেষ ১০ ডিসেম্বর আবারও ভোটের তারিখ পরিবর্তন করে নতুন তফসিল ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বিডি-প্রতিদিন/মাইনুল