চট্টগ্রামের হাটহাজারী, ফটিকছড়ি ও রাউজান উপজেলার সঙ্গে নগরের সংযোগ মোড় অক্সিজেন। এই মোড় দিয়ে যেতে হয় দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে। পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির বাসও ছাড়ে এখান থেকে। গুরুত্বপূর্ণ সড়কের সংযোগ এই মোড়ের নিত্যসঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে যানজট। প্রতিনিয়তই যানজটে অস্থির অবস্থায় পড়তে হয় এই মোড় ব্যবহারকারী যাত্রীদের।
বায়েজিদ বোস্তামি সড়ক, অক্সিজেন-কুয়াইশ সড়ক ও চট্টগ্রাম-হাটহাজারী সড়কের সংযোগস্থল এই অক্সিজেন মোড়। মোড় থেকে একটু দূরেই দেশের অন্যতম শিল্প-বাণিজ্য এলাকা নাসিরাবাদ। এখানে আছে তৈরি পোশাক কারখানা, স্টিল রি-রোলিং কারখানাসহ বিভিন্ন শিল্পকারখানা। সড়কের ওপরই এলোমোলোভাবে দাঁড়িয়ে থাকে যানবাহন। আছে ভাসমান হকার, ফুটপাত দখল করে দোকান ও গণপরিবহনের জটলা। বহু সংযোগ সড়ক যুক্ত হওয়ায় অতিগুরুত্বপূর্ণ অক্সিজেন মোড়টাই পরিণত হয়েছে অস্থায়ী বাস টার্মিনালে।
অভিযোগ আছে, ভাসমান দোকান, ফুটপাত দখল, যত্রতত্র গাড়ি দাঁড়িয়ে যাত্রী ওঠানামা করা, যান চলাচলে অব্যবস্থাপনা, পার্কিং স্পট না থাকা, পরিকল্পনাগত ত্রুটি নিয়ে নগরের মোড়গুলো গড়ে ওঠাসহ নানা কারণে সড়ক দিয়ে চলাচল দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। প্রতিদিনই ভোগান্তিতে পড়ছেন স্থানীয় বাসিন্দা, যাত্রী ও পথচারীরা। ফুটপাত থাকলেও তা ভাসমান হকারের দখলে।
স্থানীয় বাসিন্দা মিজানুর রহমান বলেন, প্রতিদিন এই মোড় দিয়েই বের হতে হয়। কিন্তু এখানেই অন্তত ১০ থেকে ১৫ মিনিট সময় নষ্ট হয়ে যায়। এটি অনেক ভোগান্তির। ফুটপাতমুক্ত ও গাড়িগুলো যদি শৃঙ্খলায় আনা যেত যানজট অনেকাংশেই নিরসন হতো। কিন্তু এগুলো দেখার কেউ নেই।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন ইখতিয়ার উদ্দীন আহমেদ চৌধুরী বলেন, হকারদের উচ্ছেদ করলে দুই দিন পর তারা আবার বসে। আমরা ওয়ার্ডভিত্তিক কাজ শুরু করার পরিকল্পনা নিয়েছি। বিশেষ করে গুরুত্বপূর্ণ মোড় আর পর্যটনমুখী সড়কগুলো আগে সুশৃঙ্খল করা হবে। নগর পুলিশের ট্রাফিক (উত্তর) বিভাগ বলছে, বাসমালিকদের অভিযোগ, তাদের টার্মিনাল নেই। এর পরও মোড়ে শৃঙ্খলা ফেরাতে কাজ চলছে। কারখানার ট্রাক-লরিগুলোকেও শৃঙ্খলা মেনে চলাচলের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। জানা যায়, প্রতিদিন এই মোড় দিয়ে কয়েক হাজার যানবাহন চলাচল করে। ফলে এ স্থানটি ব্যস্ত থাকে। এ কারণে পুরো এলাকায় নিয়মিত যানজট লেগে থাকে। নিয়ম না মেনে চলা ছোট যানবাহন, গাড়ির হর্নের শব্দ, ধুলোবালি আর সড়ক অব্যবস্থাপনায় অতিষ্ঠ আশপাশের মানুষ ও দোকানিরা। যাত্রীদের দাঁড়ানো ও চলাচলের জন্য ফুটপাত থাকলেও সেগুলো দখল করেছে ভাসমান দোকান।