রংপুর নগরী এখন তারের জঞ্জালে পরিণত হয়েছে। নগরীর প্রধান সড়ক থেকে শুরু করে অলিগলিতেও বিপজ্জনকভাবে ঝুলে আছে তার। বৈদ্যুতিক খুঁটিতে, গাছের ডালে কিংবা দোকানের ছাউনি ধরে টানানো এসব তার ঝুঁকির পাশাপাশি সৌন্দর্য নষ্ট করছে। তারের কারণে শহরজুড়ে বেড়েছে এ দৃশ্য।
নগরীর কাচারি বাজার, লালবাগ, জুম্মাপাড়া, বেতপট্টি, মডার্ন মোড়সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে দেখা গেছে তারের জঞ্জাল। একটু বাতাস উঠলেই ঝুলে থাকা এসব তার দুলতে থাকে। কোথাও কোথাও তা পথচারীর মাথার সমান উচ্চতায় এসে ঝুলে থাকে। বৃষ্টি বা বৈদ্যুতিক খুঁটির সংস্পর্শে এসে অনেক সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার আশঙ্কাও তৈরি হয়।
শালবন এলাকার বাসিন্দা রুবেল হোসেন বলেন, আমার ছোট ছেলের গায়ে একবার তার লেগে গিয়েছিল, ভাগ্য ভালো যে সেটি ডিশের ছিল, বিদ্যুতের তার নয়। অনিয়ন্ত্রিতভাবে টানানো তার। ডিশ ও ইন্টারনেট ব্যবসায়ীরা নিজেদের খরচ বাঁচাতে আলাদা খুঁটি না বসিয়ে বৈদ্যুতিক খুঁটি, গাছের ডাল কিংবা বিল্ডিংয়ের ছাদে তার বেঁধে রাখেন। পুরোনো তার কেটে ফেললেও তা সরানো হয় না। ফলে একটি খুঁটির সঙ্গে ঝুলে থাকে অসংখ্য পুরোনো ও নতুন তার।
রংপুর সিটি করপোরেশন নগর উন্নয়নের বিভিন্ন উদ্যোগ নিলেও এই ঝুলন্ত তারগুলো এখন বড় প্রতিবন্ধকতা। রাস্তা সংস্কার বা ফুটপাত নির্মাণের সময় এসব তার নিচে পড়ে থাকে, পরে আবার আগের মতোই ঝুলে যায়।
রংপুর সিটি করপোরেশনের এক কর্মকর্তা জানান, আমরা বেশ কয়েক দফা কেবল নেটওয়ার্ক মালিকদের চিঠি দিয়েছি। তারা যেন নিয়ম মেনে তার টানায়। কিন্তু বাস্তবে তা হচ্ছে না।
নেসকোর রংপুর বিতরণ অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী বলেন, বৈদ্যুতিক খুঁটিতে তার লাগাতে পারেন কি না বা এ-সংক্রান্ত কোনো নীতিমালা আছে কি না তার জানা নেই। ডিশের তার ও ইন্টারনেট কর্তৃপক্ষ কোনো টাকা প্রদান করে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারা কোনো ধরনের টাকা প্রদান করেন না।