খুলনা নগরীতে ওয়াসার পয়োনিষ্কাশন পাইপ বসানোর জন্য সড়কে খোঁড়াখুঁড়িতে বিভিন্ন স্থানে ফাটল ও আশপাশের স্থাপনা দেবে গেছে। একই স্থানে একাধিকবার খোঁড়াখুঁড়ির কারণে ক্ষয়ক্ষতি বাড়ছে। পাইপ বসানোর জন্য দুই ফুট সড়ক খোঁড়ার অনুমতি নিয়েছিল ওয়াসা। কিন্তু এখন ৬-৭ ফুট বর্গাকার ও ১৫-২০ ফুট গর্ত খুঁড়ে নির্মাণ করা হচ্ছে ম্যানহোল।
নগরীর মজিদ সরণিতে মোল্লাবাড়ি মোড়ে ভারী মেশিন দিয়ে খোঁড়াখুঁড়িতে সড়ক ও সড়কদ্বীপে (সড়কের মাঝের অংশ) ৬-৭ ইঞ্চির মতো দেবে গেছে। সড়কে আড়াআড়ি ফাটল ও সড়কদ্বীপে সৌন্দর্যবর্ধনের স্থাপনাগুলো ভেঙে গেছে। ধামাচাপা দিতে ফাটলের ওই অংশে তাড়াহুড়ো করে সিমেন্টের প্রলেপ দেওয়া হয়েছে। ম্যানহোলের সঙ্গে সংযোগ পিট (ছোট চেম্বার) করার সময় খোঁড়াখুঁড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
এর আগে মাটির কম্পন রোধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় ভারী মেশিনের খোঁড়াখুঁড়িতে কেডিএ অ্যাপ্রোচ রোডে ১০-১২টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভেঙে পড়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, কাজের ধীরগতি, টেকনিক্যাল ত্রুটি ও অনিয়মের কারণে ভোগান্তি বাড়ছে।
জানা যায়, ২০২২ সালের জুন মাস থেকে ‘খুলনা পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা উন্নয়ন’ প্রকল্পের কাজ শুরু করে ওয়াসা। পাইপলাইনের মাধ্যমে ২৭ হাজার বাড়ি থেকে পয়োবর্জ্য মাথাভাঙ্গা ও ঠিকারাবাঁধ দুটি পরিশোধন কেন্দ্রে নেওয়া হবে। এজন্য নগরীর ভিতরে ১৭৩ কিলোমিটার স্যুয়ারেজ পাইপলাইন ও ৭৭ কিলোমিটার সার্ভিস লাইন স্থাপন করা হবে। প্রকল্পের ব্যয় ২ হাজার ৩৩৪ কোটি টাকা।
খুলনা সচেতন নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট কুদরত-ই খুদা বলেন, সড়কের মাঝে গভীর গর্ত করার সময় আশপাশে মাটির কম্পন ঠেকাতে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। শুধু ম্যানহোলের জন্য তৈরি করা গর্তের চারপাশে মাটির ভাঙন ঠেকাতে লোহার পাত দিয়ে বেড়া দেওয়া হয়। এতে ভারী মেশিনে গর্ত করার সময় মাটির নিচে কম্পনে আশপাশের স্থাপনায় ফাটল তৈরি হচ্ছে।
খুলনা ওয়াসার সহকারী প্রকৌশলী মো. আশেকুর রহমান বলেন, শুরুতে পাইপ বসানোর পরে ম্যানহোল নির্মাণের পরিকল্পনা ছিল। এখন সড়কে একই সঙ্গে পাইপলাইন, ম্যানহোল ও পিট করা হচ্ছে। কোনো সড়কই বারবার খোঁড়া হচ্ছে না।