উদ্যোক্তা স্বপন চন্দ্র রায়। থাকেন নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার পুঁটিমারী ইউনিয়নের সাধুপাড়া গ্রামে। পড়াশোনার পাশাপাশি স্বাবলম্বী হতে গড়ে তুলেছেন কেঁচো সারের খামার। ইউটিউব ভিডিও দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে খামার গড়ে তোলেন। স্বপন নীলফামারী সরকারি কলেজে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী। দেড় বছর আগে তিনি কেঁচো সার উৎপাদনের খামার গড়ে তোলেন। প্রথমে ইট দিয়ে তৈরি করা ২০টি হাউজ দিয়ে শুরু করেন। পরে উৎপাদন বাড়াতে ৮০টি রিং বসান। কলাগাছ ছোট ছোট করে কেটে, গোবর সার, ডিমের খোসার গুঁড়ো, কচুরিপানা ও শাকসবজির অবশিষ্ট পচিয়ে হাউজে দেওয়ার পর সেখানে কেঁচো ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপর ৩৫-৪৫ দিনের মধ্যে সার উৎপাদন হয়। যা দেখতে অনেকটা চা পাতার মতো। উদ্ভিদ বা প্রাণীর বর্জ্য ও দেহাবশেষকে প্রক্রিয়াজাতকরণের পর যে সার তৈরি করা হয় সেটাই কেঁচো সার বা ভার্মিকম্পোস্ট নামে পরিচিত। জমির উর্বরতা বৃদ্ধিসহ আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ায় দিনদিন কেঁচো সার ব্যবহারে আগ্রহী হয়ে উঠছেন গ্রামের কৃষক। বর্তমানে মাসে তার খামারে ৫ টন সার উৎপাদন হচ্ছে। আগামী জানুয়ারিতে উৎপাদন বাড়বে বলে আশা করছেন এই উদ্যোক্তা। গ্রামের কৃষক তার খামারে এসে কেঁচো সার কিনছেন। পরিবেশবান্ধব এ সার ব্যবহারে কৃষক বিষমুক্ত সবজি চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। তারা ভালো ফলনও পাচ্ছেন। খামারে দুই নারী শ্রমিকের কর্মসংস্থান হয়েছে। উদ্যোক্তা স্বপন রায় বলেন, ‘আমি স্বাবলম্বী হতে কেঁচো সার উৎপাদনের উদ্যোগ নেই। কেঁচো সারের উৎপাদন ও ব্যবহার বাড়ানো মাধ্যমে কৃষকের ব্যয় কমানো যায়। কেঁচো সারের খামারে লোকসান হওয়ার সম্ভাবনা কম। কারণ আমরা যা ব্যবহার করি সবই পচনশীল। তবে কেঁচো মরে গেলে পরবর্তীতে প্রজননের মাধ্যমে আবার উৎপাদন করা যায়। কেঁচো সার ব্যবহারের ফলে জমির উর্বরতা বৃদ্ধি পায়, মাটির আর্দ্রতা ধরে রাখে, মাটিকে পুনরুজ্জীবিত করে, ফসলের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং ফলন বৃদ্ধি করে। এ খামারে আমার কর্মসংস্থানের পাশাপাশি অন্যদেরও কর্মসংস্থান তৈরি হচ্ছে।’ কিশোরগঞ্জ উপজেলার কৃষি অফিসার লোকমান আলম বলেন, ‘জৈবসারের মধ্যে সবচেয়ে উৎকৃষ্ট সার হচ্ছে কেঁচো সার। এর ব্যবহার বৃদ্ধির জন্য আমরা প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছি। শিক্ষার্থী স্বপন রায় একজন উদ্যমী উদ্যোক্তা। তাকে কৃষি বিভাগ থেকে প্রশিক্ষণ ও সার বিক্রিতে সহযোগিতা করা হচ্ছে।’
শিরোনাম
- মগবাজার, মৌচাক ও মোহাম্মদপুরে ককটেল বিস্ফোরণ
- মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা আজ, কেন্দ্রের গেট বন্ধ হবে সাড়ে ৯টায়
- খালেদা জিয়ার চিকিৎসার সর্বশেষ অবস্থা জানাল মেডিকেল বোর্ড
- আমরা এখনো সিরিয়াস না হলে দেশের অস্তিত্ব হুমকির সম্মুখীন হবে: তারেক রহমান
- যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গীদের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক পেছাল
- মাদকের টাকার জন্য নিজের ঘরে আগুন দিল যুবক
- তানজানিয়ায় নির্বাচনী সহিংসতা, দুই হাজারের বেশি নিহত
- লালবাগে ছুরিকাঘাতে যুবক খুন
- এশিয়া কাপের হ্যাটট্রিক শিরোপা জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী হাকিম
- মাদারীপুরে আন্তঃকলেজ ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন
- জবিতে তিন দফা দাবিতে ভিসি ভবন ঘেরাওয়ের হুশিয়ারি
- তফসিল ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে খেলাফত মজলিস
- সিরিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ অনিবার্য: ইসরায়েলি মন্ত্রী
- ভেনেজুয়েলার ন্যাশনাল গার্ড মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে: জাতিসংঘ
- জাতি একটি ভালো নির্বাচনের অপেক্ষায় আছে: দুলু
- রেকর্ড ৯০১ বিলিয়ন ডলারের প্রতিরক্ষা ব্যয় বিল পাস যুক্তরাষ্ট্রের
- মাইজভাণ্ডারী যুব ফোরামের উদ্যোগে ‘ক্যারিয়ার গাইডেন্স’ সেমিনার
- লালমনিরহাটে জন্মান্ধ হাফেজার পাশে বিএনপি নেতা দুলু
- চীন-ভারতসহ কয়েকটি দেশের পণ্যে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্কারোপ মেক্সিকোর
- বরিশালে গণতান্ত্রিক যুক্ত ফ্রন্টের মতবিনিময় সভা