চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলায় বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে ‘শিক্ষার্থী ঝরে পড়া ও প্রতিকার’ বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (৩ ডিসেম্বর) উপজেলার বলাখাল জে এন উচ্চবিদ্যালয় অ্যান্ড কারিগরি কলেজের হলরুমে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বসুন্ধরা শুভসংঘ হাজীগঞ্জ উপজেলা শাখার উপদেষ্টা ও প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ খোদেজা বেগম। বসুন্ধরা শুভসংঘ হাজীগঞ্জ উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক কালের কণ্ঠের উপজেলা প্রতিনিধি কামরুজ্জামান টুটুল অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন উপদেষ্টা মো. সাইফুল ইসলাম, জুয়েল রানা তালুকদার, সহসভাপতি সামছুদ্দোহা, হোসেন মোল্লা লিটন, মহিউদ্দিন আল আজাদ, ধর্ম ও পরিকল্পনা সম্পাদক আবু বকর তফদার, প্রচার সম্পাদক সুজন দাস এবং আপ্যায়ন সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন শামীম।
এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন বলাখাল জে এন উচ্চবিদ্যালয় অ্যান্ড কারিগরি কলেজের সহকারী শিক্ষক ইমাম হোসেন, নাজমুদ শাহাদাত, রনজিৎ চন্দ্র পালসহ অসংখ্য শিক্ষার্থী।
সভায় বক্তারা শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার বিভিন্ন কারণ এবং প্রতিকার তুলে ধরেন। অধ্যক্ষ খোদেজা বেগম বলেন, বাল্যবিবাহ ঝরে পড়ার অন্যতম প্রধান কারণ। পাশাপাশি অর্থনৈতিক দুর্বলতা শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা থেকে দূরে ঠেলে দেয়। অভিভাবকরা সচেতন হলে এবং শিক্ষার্থীদের প্রতি নিয়মিত যত্নবান হলে ঝরে পড়া উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাবে।
উপদেষ্টা মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ষষ্ঠ শ্রেণিতে ২৫০ শিক্ষার্থী ভর্তি হলেও দশম শ্রেণিতে গিয়ে তা কমে ৮০–৯০ জনে দাঁড়ায়। পড়াশোনায় দুর্বলতা, পর্যায়ক্রমে ফেল করা ও প্রমোশন না পাওয়া—এসবই ঝরে পড়ার বড় কারণ।
সহসভাপতি হোসেন মোল্লা লিটন বলেন, দারিদ্র্য ঝরে পড়ার সবচেয়ে বড় কারণ। পরিবারের আর্থিক সংকটের কারণে ছেলেসন্তানকে কাজে লাগানো হয়, আর মেয়েসন্তানের ক্ষেত্রে দেখা যায় অল্পবয়সে বাল্যবিয়ে। দরিদ্র পরিবারগুলোর জন্য রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক সহায়তা প্রয়োজন।
উপদেষ্টা জুয়েল রানা তালুকদার বলেন, আমরা আমাদের অবস্থান থেকে দরিদ্র শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা করতে পারলে ঝরে পড়া অনেকটাই কমে আসবে।
শিক্ষক ইমাম হোসেন বলেন, ২০০৭ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ঝরে পড়ার হার ব্যাপকভাবে কমেছে। আরও কমাতে হলে শিক্ষক-অভিভাবক-শিক্ষার্থী মিলে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।
বিডি প্রতিদিন/কেএইচটি