বিজয়ের মাস ডিসেম্বরের প্রথম সকালে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় মহান মুক্তিযুদ্ধ ও দেশপ্রেমের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ‘বিজয়ের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা’। দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের সামাজিক সংগঠন বসুন্ধরা শুভসংঘ মঠবাড়িয়া উপজেলা শাখা এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।
রবিবার সকালে মঠবাড়িয়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে এই প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করা হয়। কুয়াশাচ্ছন্ন শীতের সকাল উপেক্ষা করে উপজেলার বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শিক্ষার্থীরা রং-পেন্সিল আর কাগজ হাতে এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে।
এই আয়োজনে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মঠবাড়িয়া প্রেসক্লাব সভাপতি রফিকুজ্জামান আবীর, সাংবাদিক আবদুস সালাম আজাদী, প্রবীণ শিক্ষক উত্তম কুমার মজুমদার, সাংবাদিক ইসরাত জাহান মমতাজ, মঠবাড়িয়া বসুন্ধরা শুভসংঘের সাধারণ সম্পাদক কবি মেহেদী হাসান, আলোকচিত্রী প্রিন্স মাহমুদ ও কালের কণ্ঠের পিরোজপুরের আঞ্চলিক প্রতিনিধি দেবদাস মজুমদার প্রমুখ।
প্রতিযোগিতাটি শিশুদের কলকাকলিতে পুরো শহীদ মিনার প্রাঙ্গনকে উৎসবমুখর করে তোলে। প্রতিযোগিতার মূল বিষয়বস্তু ছিল ‘মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশের বিজয়’। কচি হাতের আঁচড়ে ফুটে ওঠে লাল-সবুজের পতাকা, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবয়ব, গ্রাম বাংলার প্রকৃতি এবং মহান স্মৃতিসৌধের চিত্র।
মঠবাড়িয়া উপজেলা শুভসংঘের সাধারণ সম্পাদক কবি মেহেদী হাসান বলেন, নতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরা এবং তাদের মনে দেশপ্রেম জাগ্রত করাই ছিল এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য।
অতিথির বক্তব্যে মঠবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি রফিকুজ্জামান আবীর বলেন, আজকের শিশুরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। বিজয়ের মাসের শুরুতে এমন আয়োজন শিশুদের মননে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা গেঁথে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। শুভ সংঘের এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়।
অনুষ্ঠানে ক-গ্রুপে প্রথম স্থান অর্জন করেছে সরোসী। এ গ্রুপে দ্বিতীয় হয়েছে তানিশা জাহান এবং তৃতীয় স্থান লাভ করেছে নুসরাত জাহান। এছাড়া বিশেষ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে মৌলি।
অন্যদিকে, খ-গ্রুপে প্রথম স্থান অর্জন করে আহাদ আবদুল্লাহ। এ গ্রুপে দ্বিতীয় স্থান পেয়েছে তানিশা আক্তার এবং তৃতীয় হয়েছে আকিয়াব। উল্লেখ্য, মঠবাড়িয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আহাদ আব্দুল্লাহ ইতিমধ্যে জাতীয় প্রাথমিক চিত্রাঙ্গনে প্রথম স্থান অধিকার করে দেশ সেরা ভূষিত হয়েছে।
প্রতিযোগিতা শেষে বিচারকদের রায়ে সেরা চিত্রশিল্পীদের নির্বাচিত করা শেষে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন মঠবাড়িয়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল কাইয়ূম। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী সব শিশুকে শিক্ষা উপকরণ প্রদান করা হয়।
মঠবাড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল কাইয়ূম বলেন, বসুন্ধরা শুভসংঘের বিজয় মাসে এমন আয়োজন প্রশংসনীয় উদ্যোগ। এতে শিক্ষার্থীরা দেশ ও মানুষের প্রতি সৃজনশীল কাজে অনুপ্রাণিত হবে।
বিডি-প্রতিদিন/মাইনুল