প্রযুক্তিনির্ভর আধুনিক শিক্ষার প্রসারে বসুন্ধরা শুভসংঘ নেত্রকোনা জেলা শাখার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো আইটি ও রোবোটিক্স বিষয়ক হাতে-কলমে কর্মশালা এবং আন্তর্জাতিক স্বর্ণপদকজয়ী উদ্ভাবক মাশিয়া রহমানকে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান।
বুধবার (২৬ নভেম্বর) নেত্রকোনা সরকারি কলেজের বিএনসিসি ক্লাসরুমে আয়োজিত এই বিশেষ অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা ছড়িয়ে পড়ে।
বিশ্ব উদ্ভাবন প্রতিযোগিতা ২০২৫–এ বাংলাদেশের হয়ে স্বর্ণপদক জিতে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের নাম উজ্জ্বল করেছেন মেধাবী তরুণী মাশিয়া রহমান। তার এই অসাধারণ অর্জনের স্বীকৃতি জানাতে বসুন্ধরা শুভসংঘ তাকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করে। শুভসংঘ নেত্রকোনা জেলা শাখার সভাপতি আব্দুর রহমান মাশিয়ার হাতে স্মারকটি তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে মাশিয়া রহমান উপস্থিত বিএনসিসি ক্যাডেট ও কলেজের শিক্ষার্থীদের কাছে তার আন্তর্জাতিক সাফল্যের গল্প, চ্যালেঞ্জ এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ‘উদ্ভাবন মানে শুধু নতুন কিছু তৈরি নয়; বরং সমস্যা সমাধানের নতুন পথ খুঁজে বের করাই একজন উদ্ভাবকের সাফল্য।’
মাশিয়া রহমান পরিচালিত কর্মশালায় শিক্ষার্থীরা জানতে পারেন: রোবোটিক্সের মৌলিক কাঠামো, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) ও অটোমেশনের ভবিষ্যৎ, উদ্ভাবনী চিন্তাধারা ও গবেষণার গুরুত্ব, প্রযুক্তির নতুন ধারা এবং বিশ্ব বাজারে এর সম্ভাবনা। তার প্রাণবন্ত উপস্থাপনা ও ব্যবহারিক প্রদর্শনী শিক্ষার্থীদের মধ্যে নতুন অনুপ্রেরণা সৃষ্টি করে, যা ভবিষ্যতে তাদের প্রযুক্তিখাতে দক্ষতা বৃদ্ধি করতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মিনহাজ হাসান সাঈদ, সাবেক জেলা ছাত্রদল নেতা। তিনি বলেন, ‘দেশের তরুণ উদ্ভাবকদের জন্য এমন আয়োজন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রযুক্তিতে এগিয়ে যেতে হলে এ ধরনের কর্মশালা শিক্ষার্থীদের চিন্তার পরিসর আরও বিস্তৃত করবে।’
অনুষ্ঠানে বসুন্ধরা শুভসংঘের নারী ও শিশু বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদা আক্তার, ক্যাডেট আন্ডার অফিসার আশরাফুল আলম টনি, এক্স ক্যাডেট অফিসার সাজ্জাদুল ইসলাম সাজ্জাদ, ক্যাডেট কর্পোরাল সাইলা শারমিন লাকি, ক্যাডেট তানজিমা তাবাসসুমসহ ছাত্র-ছাত্রী ও বিএনসিসির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা এসময় মাশিয়া রহমানের অনন্য সাফল্যে গর্ব প্রকাশ করেন এবং তার উদ্ভাবনী যাত্রায় আরও নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচনের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। তারা আরও বলেন, বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে আয়োজিত এই কর্মশালা শুধু একটি অনুষ্ঠান নয়—এটি ছিল তরুণদের জন্য ভবিষ্যতের প্রযুক্তিনির্ভর বিশ্বের প্রস্তুতি নেওয়ার একটি মূল্যবান সুযোগ।
শিক্ষার্থীরা মনে করছে, এ ধরনের উদ্যোগ নিয়মিত হলে তারা আরও দক্ষ, উদ্ভাবনী এবং ভবিষ্যৎ প্রযুক্তি বাজারে প্রতিযোগিতায় সক্ষম হয়ে উঠতে পারবে।
বিডি-প্রতিদিন/মাইনুল