নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির শিক্ষার্থীদের শিক্ষার অগ্রগতি ও উৎসাহ বৃদ্ধির লক্ষ্যে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করেছে বসুন্ধরা শুভসংঘ, ধামইরহাট উপজেলা শাখা।
বুধবার ধামইরহাট পৌরসভার তালঝাড়ী আদিবাসী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের হাতে একটি করে বোর্ড, পেন্সিল বক্স, স্কেল ও ৬টি করে বলপেনসহ নানা শিক্ষা উপকরণ তুলে দেওয়া হয়।
বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আতিয়ার হোসেন রতন। অনুষ্ঠানে বক্তারা শিক্ষার গুরুত্ব, বিশেষ করে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির শিশুদের শিক্ষার অগ্রগতি এবং সামাজিক উন্নয়নে তাদের অংশগ্রহণ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন।
প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বসুন্ধরা এলপি গ্যাস ও বসুন্ধরা সিমেন্টের ধামইরহাট পরিবেশক এবং ধামইরহাট পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. আনারুল ইসলাম মণ্ডল।
তিনি বলেন, আদিবাসী শিশুদের শিক্ষার অগ্রযাত্রায় বসুন্ধরা শুভসংঘের এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। প্রতিটি শিশুর শিক্ষা পাওয়ার অধিকার রয়েছে—তাদের সহযোগিতায় সবাইকে এগিয়ে আসা উচিত।
অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন কালের কণ্ঠের ধামইরহাট ও পত্নীতলা উপজেলা প্রতিনিধি এবং বসুন্ধরা শুভসংঘ ধামইরহাট উপজেলা শাখার উপদেষ্টা সাংবাদিক হারুন আল রশীদ।
তিনি বলেন, শিক্ষা উপকরণ প্রদান শুধু একটি উপহার নয়, এটি শিক্ষার্থীদের প্রতি আমাদের সামাজিক দায়বদ্ধতার প্রকাশ। এই উদ্যোগ তাদের পড়াশোনায় আগ্রহ বাড়াতে সহায়তা করবে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন তালঝাড়ী আদিবাসী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা—শ্রীমতি দিপালী রানী, মোসা. মাকসুদা আক্তার, রুনা লায়লা, উম্মে সুরাইয়া, ইসরাত জাহান ববি; যুবদল নেতা মো. আব্দুল কুদ্দুস; গণমাধ্যমকর্মী রেজুযান হোসেন ও মুমিনুল ইসলাম মমিনসহ স্থানীয় গুণীজন এবং শুভসংঘের সদস্যরা।
বক্তারা বলেন, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির শিক্ষার্থীরা আর্থিক ও সামাজিক কারণে অনেক সময় শিক্ষার সুযোগ থেকে পিছিয়ে পড়ে। তাই বসুন্ধরা শুভসংঘের এ ধরনের সহযোগিতা তাদের ভবিষ্যৎ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
অনুষ্ঠান শেষে একে একে শিক্ষার্থীদের হাতে শিক্ষা উপকরণ তুলে দেওয়া হয়। উপহার পেয়ে শিক্ষার্থীরা আনন্দ প্রকাশ করে। শিক্ষকরা জানান, এমন উদ্যোগ শিক্ষকদের মনোবল বৃদ্ধি করে এবং শিশুদের শেখার প্রতি আগ্রহ বাড়ায়।
বসুন্ধরা শুভসংঘ ধামইরহাট উপজেলা শাখার সদস্যরা জানিয়েছেন, ভবিষ্যতেও তারা শিক্ষাবিষয়ক ও মানবিক নানা কর্মকাণ্ড পরিচালনা করবে এবং সমাজের উপেক্ষিত শ্রেণির পাশে দাঁড়ানোর এ কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে। এই মানবিক উদ্যোগ স্থানীয়ভাবে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/মাইনুল