আল্লামা ইকবাল বিশ্বের সেরা কবিদের একজন। যিনি উর্দু ও ফার্সি ভাষায় কবিতা লিখে লাখ লাখ মানুষের মন জয় করেছেন। দার্শনিক, শিক্ষাবিদ ও আইনজীবী হিসেবেও তিনি ছিলেন নন্দিত। রাজনীতিবিদ হিসেবেও আল্লামা ইকবালের অবস্থান আকাশছোঁয়া। পাকিস্তানের স্বপ্নদ্রষ্টা বা আধ্যাত্মিক জনক হিসেবে ভাবা হয় তাঁকে। তাঁর একটি কবিতার পঙ্ক্তি- বাজপাখি যেমন মরা তিতির ধরে না/ কাপুরুষের কাছে তেমন প্রেম আসে না/। বলা হয়, প্রেম করতে হলে সাহসী হতে হয়। যারা কাপুরুষ, তারা অক্ষমতার পরিচয় দেন। শুধু প্রেম নয়, যারা রাজনীতি করেন তাদের জন্যও সাহসী হওয়া জরুরি। সাহসী মানে হারকিউলিস হওয়া নয়। চেঙ্গিশ খান কিংবা আলেকজান্ডারের মতো মহাবীর হওয়াও নয়। তাকে দেশপ্রেমে বলীয়ান হতে হবে। হতে হবে আদর্শবান। আত্মত্যাগের মনোভাবও থাকতে হবে। বলা হয়, প্রেম ও রাজনীতি ভীরুদের জন্য নয়।
আমাদের এই উপমহাদেশের ইতিহাসের দিকে তাকানো যাক। ভারতের স্বাধীনতার জনক মহাত্মা করমচাঁদ গান্ধী। গান্ধীর জন্ম অভিজাত পরিবারে। বাবা ছিলেন গুজরাটের পোরবন্দর রাজ্যের প্রধানমন্ত্রী। সোজা কথায় ধনী পরিবারের সন্তান। কিন্তু অভিজাতদের সংগঠন কংগ্রেস গান্ধীর নেতৃত্বে গণমানুষের দলে পরিণত হয়। শারীরিক দিক থেকে তিনি শক্তিশালী ছিলেন না, তা নির্দ্বিধায় বলা যায়। কিন্তু মানসিক দৃঢ়তায় গান্ধী ছিলেন হিমালয় পর্বতের সমান। এই মানুষটি তাঁর রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন দক্ষিণ আফ্রিকায়। সেখানে তিনি গিয়েছিলেন প্রবাসী ভারতীয়দের পক্ষে আইনজীবী হিসেবে। দক্ষিণ আফ্রিকায় তিনি ভারতীয় সম্প্রদায়ের অধিকার প্রতিষ্ঠায় অহিংস আন্দোলন গড়ে তোলেন। এই আন্দোলনে আফ্রিকানদের আস্থা কুড়াতেও সক্ষম হন। গান্ধীর দক্ষিণ আফ্রিকা যাওয়ার আগে সে দেশের মানুষ ভারতীয়দের দেখত বাঁকা চোখে। ইংরেজরা যেহেতু দক্ষিণ আফ্রিকায় ভারতীয়দের নিয়ে গেছে, সেহেতু তাদের ভাবা হতো ঔপনিবেশিক শক্তির দোসর হিসেবে। মহাত্মা গান্ধী সেবা দিয়ে আফ্রিকানদের মন থেকে বিদ্বেষের মনোভাব দূর করতে সক্ষম হন। পরবর্তী সময়ে তিনি দেশে ফেরেন কংগ্রেস নেতাদের আহ্বানে। অহিংস আন্দোলনের মাধ্যমে গান্ধী ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে দৃঢ় ঐক্য গড়ে তুলতে সক্ষম হন। স্বাধীনতাও অর্জিত হয় মহাত্মা গান্ধীর নেতৃত্বে।
ভারতবর্ষের স্বাধীনতা আন্দোলনের একটি অনন্য নাম নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু। গান্ধীজির মতো অহিংস পথ নয়, লড়াই করে স্বাধীনতা অর্জনের পক্ষে ছিলেন তিনি। নেতাজি সুভাষ বসু স্বাধীনতার জন্য আজাদ হিন্দ ফৌজ গড়ে তোলেন। স্বাধীনতার জন্য তিনি জাপানের সহায়তা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধে সিঙ্গাপুরে জাপানিদের কাছে আটক ভারতীয় ব্রিটিশ সৈন্যদের আজাদ হিন্দ ফৌজে অন্তর্ভুক্ত করেন নেতাজি সুভাষ বসু। আজাদ হিন্দ বাহিনী ভারতের মণিপুর রাজ্যের রাজধানীতে এসে আস্তানা গাড়ে। ইতোমধ্যে জাপানে আমেরিকান পারমাণবিক বোমা ফেলে লাখ লাখ মানুষকে হত্যা করা হয়। আত্মসমর্পণে বাধ্য করা হয় জাপানকে। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধে জাপান পরাস্ত না হলে গান্ধী-নেহরু নয়, নেতাজি সুভাষ বসুর নেতৃত্বেই ভারত স্বাধীন হতো। বাঙালি সুভাষ বসু জাতিধর্মনির্বিশেষে উপমহাদেশের মানুষের মন জয় করেছিলেন অসীম সাহসিকতায়। তাঁর অসাম্প্রদায়িক মনোভাবও সবার আস্থা কুড়িয়েছিল। গান্ধী-নেহরুসহ অন্য কংগ্রেস নেতাদের মধ্যে যার অভাব ছিল। ব্রিটিশ সরকার আজাদ হিন্দ ফৌজের বেশ কিছু সদস্যকে কঠোর দণ্ডে দণ্ডিত করে। তাদের মধ্যে ক্যাপ্টেন শাহ নেওয়াজ ও ক্যাপ্টেন রশিদ ছিলেন অন্যতম। তাঁরা নেতাজির খুব ঘনিষ্ঠ বলে বিবেচিত হতেন। পাকিস্তানের জনক মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ। দৈহিক গড়নে যিনি ছিলেন আক্ষরিক অর্থেই তালপাতার সেপাই। কিন্তু জিন্নাহর মনোবল ছিল পাকিস্তানের সর্বোচ্চ পর্বত কারাকোরামের চেয়েও উঁচু। বলা হয়, পাকিস্তান অর্জন সম্ভব হয়েছিল জিন্নাহর নেতৃত্বগুণে।
দুই.
রাজনীতিতে সফল হতে হলে দরকার সাহস। একই সঙ্গে সময়োপযোগী কৌশল। বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রাণপুরুষ শেখ মুজিব। তাঁর রাজনৈতিক গুরু ছিলেন মওলানা ভাসানী। দেশের রাজনীতির ইতিহাসে আওয়ামী লীগ ও শেখ মুজিব যেন অবিচ্ছেদ্য সত্তা। এটি অস্বীকার না করেও ইতিহাসের নিরিখে বলা যায়, আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী। শেখ মুজিব ছিলেন দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। পরবর্তী সময়ে তিনি সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান। হুজুর ভাসানীর বিশ্বস্ত ছিলেন শেখ মুজিব। তাঁর সাহস ছিল কিংবদন্তিতুল্য। শেখ সাহেব তাঁর নেতা মওলানা ভাসানীর কৌশলী ভূমিকার বর্ণনা দিয়েছেন নিজের লেখা ডায়েরিতে। পরে যা গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়।
“সভা আরম্ভ হবার সাথে সাথেই ১৪৪ ধারা জারি করা হলো। পুলিশ এসে মওলানা সাহেবকে (আবদুল হামিদ খান ভাসানী) একটা কাগজ দিলো। আমি বললাম, মানি না ১৪৪ ধারা, আমি বক্তৃতা করবো। মওলানা সাহেব দাঁড়িয়ে বললেন, ১৪৪ ধারা জারি হয়েছে। আমাদের সভা করতে দেবে না। আমি বক্তৃতা করতে চাই না, তবে আসুন, আপনারা মোনাজাত করুন। আল্লাহু আমিন-
মওলানা সাহেব মোনাজাত শুরু করলেন। মাইক্রোফোন সামনেই আছে। আধঘণ্টা পর্যন্ত চিৎকার করে মোনাজাত করলেন, কিছুই বাকি রাখলেন না, যা বলার সবই বলে ফেললেন। পুলিশ অফিসার ও সিপাহিরা হাত তুলে মোনাজাত করতে লাগল। আধঘণ্টা মোনাজাতে পুরো বক্তৃতা করে মওলানা সাহেব সভা শেষ করলেন। পুলিশ ও মুসলিম লীগ ওয়ালারা পুরো বেয়াকুফ হয়ে গেল।” -অসমাপ্ত আত্মজীবনী (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান)
মওলানা ভাসানী যে সাহসী ছিলেন তা সুবিদিত। একই সঙ্গে ছিলেন কৌশলী। যা রাজনীতিকদের জন্য একটি অনন্য গুণ। শেখ মুজিব ছিলেন পাকিস্তান আন্দোলনের অন্যতম ছাত্রনেতা। হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ‘লড়কে লেঙ্গা পাকিস্তান’ আন্দোলনের অন্যতম সহযোগী। তবে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর অনেকের মতো শেখ মুজিবেরও মোহভঙ্গ হয়। স্বাধীনতার জন্য তিনি তাঁর দল ও জাতিকে সংগঠিত করেন সাহসিকতার সঙ্গে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর যেসব বাঙালি সদস্য স্বাধীনতার জন্য সংগঠিত হন, শেখ মুজিব ছিলেন তাঁদের কাছে আইকন। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় আটক করা হয় শেখ মুজিবকে। কিন্তু দেশবাসী ১৯৬৯-এর গণ অভ্যুত্থানের মাধ্যমে শেখ মুজিবকে মুক্ত করা শুধু নয়, ফিল্ড মার্শাল আইউব খানের সেনাপতি শাসনেরও পতন ঘটায়। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে তাঁর দলের বিশাল জয় ছিল শেখ মুজিবের নেতৃত্বগুণ। যা তাঁকে স্বাধীনতার নায়কে পরিণত করে।
আমাদের সফল রাষ্ট্রনেতাদের অন্যতম জিয়াউর রহমান। যাঁকে অসীম সাহসিকতার প্রতীক হিসেবে ভাবা হতো। তিনি তাঁর সাহসের প্রমাণ রেখেছেন ১৯৬৫ সালে ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের যুদ্ধে খেমকারান সেক্টরে সেনাবাহিনীর কোম্পানি কমান্ডার হিসেবে। তিনি নিজে শুধু নয়- তাঁর কোম্পানি বীরত্বসূচক সর্বাধিক পুরস্কার পায় সে যুদ্ধে। ১৯৭১ সালের ২৭ মার্চ চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা ছিল দুঃসাহসিকতার নজির। সে সময় তাঁর স্ত্রী ও দুই পুত্র ছিলেন ঢাকা সেনানিবাসে। কিন্তু মেজর জিয়া সেনানায়ক হিসেবে সিদ্ধান্ত নিতে ভুল করেননি। নিজের বাহিনীর স্বার্থ ও দেশের স্বার্থকে প্রাণপ্রিয় দুই পুত্র এবং স্ত্রীর নিরাপত্তার কথা ভেবে বিকিয়ে দেননি। এই দুঃসাহস তাঁকে সৈনিকদের কাছে সত্যিকারের বীর হিসেবে তুলে ধরে। জাতির কাছেও। মুক্তিযুদ্ধেও তিনি তাঁর সাহসিকতার পরিচয় দেন। তাঁর নামে গঠন করা হয় জেড ফোর্স। ১৯৭৫ সালে তিনি যখন সেনাপ্রধান তখন ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বে ৩ নভেম্বর সংঘটিত সেনা অভ্যুত্থানে বন্দি হন জেনারেল জিয়া। তাঁকে মুক্ত করার ব্যাপারে ভূমিকা রাখে কর্নেল (অব.) তাহেরের নেতৃত্বাধীন জাসদের সৈনিক সংস্থা। জিয়া তাহেরের প্রতি কৃতজ্ঞ হলেও বিপ্লবের নামে সেনা অফিসারদের হত্যাকাণ্ড মেনে নেননি। তিনি সেনা শৃঙ্খলা ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে অ্যাকশনে যান। ৭ নভেম্বর সৈনিক জিয়াকে রাজনীতিক হিসেবে রূপান্তরে ভূমিকা রাখে। কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখেও সাহসিকতা দেখিয়ে তিনি জনগণের মন জয় করেন। রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন জনগণের রায়ে।
১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রামে রহস্যঘেরা সেনা অভ্যুত্থানে নিহত হন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। অনেক নাটক শেষে ক্ষমতা চলে যায় সেনাপতি জেনারেল এরশাদের কাছে। জিয়াউর রহমানের গড়া দল বিএনপি অস্তিত্বের সংকটে পতিত হয়। সেই কঠিন সময়ে কুলবধূ বেগম খালেদা জিয়া দলের হাল ধরেন। অসীম সাহসিকতা দেখিয়ে তিনি স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন। আপসহীন নেত্রীর তকমা পান জনগণের কাছে। এই তকমা বিএনপিকে এরশাদ পতনের পর ১৯৯১ সালের নির্বাচনে জয়ী করে আনে। দেশনেত্রী অভিধায় অভিষিক্ত হন তিনি ভক্তদের কাছে।
বেগম খালেদা জিয়া কতটা আপসহীন কতটা সাহসী তার প্রমাণ রেখেছেন ওয়ান-ইলেভেনে। তাঁকে দেশের বাইরে পাঠানোর চেষ্টা করেছিল সেনাশাসকরা। তিনি রাজি হননি। তাঁকে দমানো যায়নি দেড় দশকের কর্তৃত্ববাদী শাসনামলেও। যে দেশে দলের বাইরের কারও প্রতি শ্রদ্ধা দেখানো পাপ বলে বিবেচিত হয়, সেই দেশে খালেদা জিয়াকে দলীয় নেত্রীর বদলে জাতীয় নেত্রী ভাবেন কোটি কোটি মানুষ।
তিন.
অনেকেরই জানা, দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের ভাগ্যনির্ধারকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন সোভিয়েত নেতা জোসেফ স্তালিন। ১৯৪৫ সালের ১ মে স্তালিনের নেতৃত্বে লালফৌজ জার্মানির রাজধানী বার্লিনের পার্লামেন্ট ভবনে লাল পতাকা ওড়ায়। আত্মহত্যা করতে বাধ্য হন জার্মান নেতা হিটলার। মানবজাতির শত্রু নাৎসিবাদ ও ফ্যাসিবাদ চূড়ান্তভাবে পরাজিত হয়। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধে প্রাণ হারান সোভিয়েত রাশিয়ার ২ কোটির বেশি মানুষ। শিশুসহ ৫০ হাজারের বেশি মানুষকে জার্মানিতে দাস হিসেবে বন্দি করে নিয়ে যাওয়া হয়। যুদ্ধে বন্দি হয় সোভিয়েতের ৫৩ লাখ সৈন্য ও অন্যান্য মানুষ। যুদ্ধ শেষে তাদের মধ্যে মাত্র ১০ লাখকে জীবিত পাওয়া যায়। জার্মান আক্রমণে চরম ক্ষতির শিকার হয় ছোটবড় ১ হাজারেরও বেশি শহর। ক্ষতিগ্রস্ত হয় ৭০ হাজার গ্রাম। ৩২ হাজার শিল্পকারখানা এবং ৯৮ হাজার যৌথ খামার তছনছ হয়ে যায়। যুদ্ধের সময় আমেরিকার প্রেসিডেন্ট রুজভেল্ট সোভিয়েত ইউনিয়নকে ৬০০ কোটি ডলার ঋণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। রুজভেল্টের মৃত্যুর পর ট্রুম্যান প্রেসিডেন্ট হয়েই সেই প্রতিশ্রুতি থেকে সরে আসেন। স্তালিন তাতে বিচলিত হননি। তাঁর নেতৃত্বে যুদ্ধকালীন ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে মাথা সোজা করে দাঁড়ায় সোভিয়েত ইউনিয়ন। শুধু তাই নয়, পূর্ব ইউরোপের দেশগুলোতে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় স্তালিন সহায়তার হাত বাড়ান। যুদ্ধের বীভৎসতা কাটিয়ে স্তালিনের নেতৃত্বে সমাজতান্ত্রিক সোভিয়েত ইউনিয়ন মাত্র পাঁচ বছরের মধ্যে বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তি হয়ে ওঠে।
যুদ্ধের সময় স্তালিনের পুত্রকে বন্দি করে জার্মানরা। স্তালিন পুত্রের বিনিময়ে জার্মান ফিল্ড মার্শাল ফ্রেডরিখ পউলাসের মুক্তির প্রস্তাব দেন হিটলার। সে প্রস্তাবে স্তালিন রাজি হননি। যা প্রমাণ করে স্তালিনের কাছে নিজের সন্তানের চেয়ে দেশই বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল। লাল ফৌজের সর্বাধিনায়ক স্তালিন বললেন; এক মার্শালের বিনিময়ে এক লেফটেন্যান্টকে ফেরত আনার ব্যবসায় আমি রাজি হতে পারি না। স্তালিনের প্রতিপক্ষও কল্পনা করতে পারেননি যে দেশের জন্য স্তালিন উৎসর্গ করে দেবেন নিজের প্রিয় পুত্রকেই।
লেখক : সিনিয়র সহকারী সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন
ইমেইল : sumonpalit@gmail.com