গাজায় আবার হামলা চালাল ইসরায়েল। এত ঢাকঢোল পিটিয়ে, মার্কিন প্রেসিডেন্টের উদ্যোগ-মধ্যস্থতায় করা যুদ্ধবিরতি চুক্তির নির্লজ্জ লঙ্ঘন অব্যাহত রেখেছে দেশটি। মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার ভোর পর্যন্ত চালানো তাণ্ডবে যুদ্ধবিধ্বস্ত উপত্যকাটিতে প্রায় অর্ধশত শিশুসহ শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত আড়াই শরও বেশি। ১০ অক্টোবর যুদ্ধরিবতি শুরুর পর থেকে গাজায় এর মধ্যেই দুই শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত এবং ছয় শ ব্যক্তি আহত হয়েছে। ইসরায়েলি সেনারা এবার মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহর একটা তাঁবু নিশানা করে হামলা চালায়। মঙ্গলবার মধ্য গাজার রাফায় নিজেদের এক সেনা নিহত হওয়ার অভিযোগ তুলে নতুন করে হামলা চালানোর নির্দেশ দেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী। যদিও ওই সেনার বিষয়ে বিস্তারিত কিছুই জানায়নি দেশটি। হামাস তৎক্ষণাৎ দৃঢ়তার সঙ্গে ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এটাকে পায়ে পাড়া দিয়ে বিরোধ সৃষ্টির নিছক একটা অজুহাত হিসেবে দেখছে বিশ্ব সমাজ। এবং আশ্চর্য, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, ‘ইসরায়েলের হামলা সত্ত্বেও গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর রয়েছে। নিজেদের সেনার মৃত্যুতে ইসরায়েল প্রতিরোধমূলক হামলা চালিয়েছে।’ বিশ্ব মোড়ল যুক্তরাষ্ট্রের মহাক্ষমতাধর প্রেসিডেন্টের এ বক্তব্যের মধ্যে ইসরায়েলি হামলার প্রতি প্রচ্ছন্ন সমর্থন ও আশকারা রয়েছে। যা উপদ্রুত উপত্যকাটিতে স্থায়ীভাবে সংঘাত বন্ধ এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার পথে স্পষ্টত অন্তরায়। দুর্ভাগ্যজনক যে সভ্যতা-গর্বিত গোটা বিশ্বের জাগ্রত চোখের সামনেই এসব হচ্ছে। সারা পৃথিবী নিন্দা-প্রতিবাদ জানাচ্ছে। এমনকি আমেরিকা এবং খোদ ইসরায়েলেও মানবতাবাদী জনগোষ্ঠী অন্যায় হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে শান্তির বার্তা নিয়ে পথে নামছে। কিন্তু বিড়ালের গলায় ঘণ্টা বাঁধার কেউ নেই। যেমন বছরের পর বছর ধরে রুশ আগ্রাসন চলছে ইউক্রেনের ওপর। তথাকথিত যুদ্ধবিরতির মধ্যে ইসরায়েলের ব্যাপক বিধ্বসী বিমান হামলায় গাজায় নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। পরিবারসহ শিশুদের মৃত্যুকে ‘চরম যন্ত্রণাদায়ক’ উল্লেখ করেছে সেভ দ্য চিলড্রেন। ১০ অক্টোবরের যুদ্ধবিরতি চুক্তি কারও মতলবি উদ্যোগ, লোকদেখানো কূটকৌশল বা নিন্দনীয় প্রতারণায় পরিণত না হয়ে সত্যিকার অর্থে কার্যকর হোক। অনেক ধ্বংসের স্তূপে দাঁড়িয়ে, লাখো মৃত্যুর শোক বুকে নিয়েও ঘুরে দাঁড়াক গাজাবাসী। নতুন করে বাঁচার উপকরণ খুঁজে নিক। অন্তত বিষ-বারুদের গন্ধমুক্ত বাতাসে একটু বুকভরে শ্বাস নেওয়ার সুযোগ পাক। তেমন শান্তি-স্বস্তি-নিরাপত্তার পরিবেশ সৃষ্টির জন্য একজোট হোক মুসলিম দেশগুলোসহ পৃথিবীর শান্তিকামী, মানবতাবাদী ব্যক্তি, সংগঠন, জাতিসংঘসহ সব আন্তর্জাতিক সংস্থা। সম্মিলিত প্রতিবাদ ও প্রতিরোধে রোখা হোক জালেমের জুলুম; রক্ষা পাক বিপন্ন মানবতা।
শিরোনাম
- মগবাজার, মৌচাক ও মোহাম্মদপুরে ককটেল বিস্ফোরণ
- মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা আজ, কেন্দ্রের গেট বন্ধ হবে সাড়ে ৯টায়
- খালেদা জিয়ার চিকিৎসার সর্বশেষ অবস্থা জানাল মেডিকেল বোর্ড
- আমরা এখনো সিরিয়াস না হলে দেশের অস্তিত্ব হুমকির সম্মুখীন হবে: তারেক রহমান
- যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গীদের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক পেছাল
- মাদকের টাকার জন্য নিজের ঘরে আগুন দিল যুবক
- তানজানিয়ায় নির্বাচনী সহিংসতা, দুই হাজারের বেশি নিহত
- লালবাগে ছুরিকাঘাতে যুবক খুন
- এশিয়া কাপের হ্যাটট্রিক শিরোপা জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী হাকিম
- মাদারীপুরে আন্তঃকলেজ ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন
- জবিতে তিন দফা দাবিতে ভিসি ভবন ঘেরাওয়ের হুশিয়ারি
- তফসিল ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে খেলাফত মজলিস
- সিরিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ অনিবার্য: ইসরায়েলি মন্ত্রী
- ভেনেজুয়েলার ন্যাশনাল গার্ড মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে: জাতিসংঘ
- জাতি একটি ভালো নির্বাচনের অপেক্ষায় আছে: দুলু
- রেকর্ড ৯০১ বিলিয়ন ডলারের প্রতিরক্ষা ব্যয় বিল পাস যুক্তরাষ্ট্রের
- মাইজভাণ্ডারী যুব ফোরামের উদ্যোগে ‘ক্যারিয়ার গাইডেন্স’ সেমিনার
- লালমনিরহাটে জন্মান্ধ হাফেজার পাশে বিএনপি নেতা দুলু
- চীন-ভারতসহ কয়েকটি দেশের পণ্যে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্কারোপ মেক্সিকোর
- বরিশালে গণতান্ত্রিক যুক্ত ফ্রন্টের মতবিনিময় সভা