চীন ইলন মাস্কের স্টারলিংকের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে যেতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। হাইনান প্রদেশের ওয়েনচাং মহাকাশ বন্দরে দেশটি চালু করেছে বছরে ১,০০০ স্যাটেলাইট উৎপাদনক্ষম ‘স্যাটেলাইট সুপার ফ্যাক্টরি’, যা এশিয়ার বৃহত্তম স্যাটেলাইট উৎপাদন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত।
রাষ্ট্রীয় সংবাদসংস্থা সিনহুয়া অনুসারে, ফ্যাক্টরি-টু-লঞ্চ পাইপলাইন ব্যবহারের মাধ্যমে এখানে স্যাটেলাইট তৈরি, পরীক্ষা এবং রকেটে সংযুক্ত করে সরাসরি উৎক্ষেপণ করা যাবে। এর ফলে কয়েক দিনের কাজ কয়েক ঘণ্টার মধ্যে শেষ হবে এবং উৎপাদন খরচ উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো সম্ভব।
মহাকাশ পরিসংখ্যান অনলাইন ডাটাবেস অনুসারে, চীন ইতোমধ্যেই ২০২৫ সালে রেকর্ড ৮০টি মহাকাশ উৎক্ষেপণ সম্পন্ন করেছে। এর বিপরীতে, স্পেসএক্স এই বছর ১৪৬টি মিশন এবং ২,৩০০টিরও বেশি স্টারলিংক স্যাটেলাইট কক্ষপথে পাঠিয়েছে।
গত বছর চীন ৬৮টি রকেট উৎক্ষেপণ করে ২০১টি বাণিজ্যিক উপগ্রহ কক্ষপথে প্রেরণ করেছিল। এদিকে, স্পেসএক্স গত বছর ১৩৪টি রকেট উৎক্ষেপণ করেছে এবং ২,৩০০ টিরও বেশি স্টারলিংক উপগ্রহ স্থাপন করেছে। বিশ্বব্যাপী বাণিজ্যিক উৎক্ষেপণ বাজারের যার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের অংশ ছিল ৬ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার।
চীনের পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০২৫-২৬ সালে প্রথমবারের মতো পুনরুদ্ধারযোগ্য রকেটের নিয়মিত ব্যবহারে উৎক্ষেপণ শুরু হতে পারে। তবে গবেষক ঝো চাও সতর্ক করে বলেছেন, স্টারলিংকের বিশাল নেটওয়ার্কের কারণে চীনের জন্য প্রযুক্তি ও স্কেলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা চ্যালেঞ্জিং। তিনি বলেন,“চীনের স্যাটেলাইট উৎপাদন ও উৎক্ষেপণ বৃদ্ধি পাচ্ছে, তবে স্টারলিংকের তুলনায় এখনো দীর্ঘ ও কঠিন পথ রয়েছে।”
চীনের কারখানায় ইতোমধ্যেই দুই ডজনের বেশি মহাকাশ-সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করেছে। এছাড়া, আন্তর্জাতিক স্যাটেলাইট ডেটা ব্যবস্থাপনার জন্য এখানে বিশেষ জোনও তৈরি করা হয়েছে। নতুন কারখানাটি চীনের মহাকাশ প্রতিযোগিতায় গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি আনলেও স্টারলিংকের সমকক্ষ হওয়া বেশ চ্যালেঞ্জিং।
তথ্যসূত্র : দ্য সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট
বিডি-প্রতিদিন/তানিয়া