আনুষ্ঠানিকভাবে শীত আসতে প্রায় দু’সপ্তাহ বাকি থাকলেও শীতের আমেজ বিরাজ করছে এখন রংপুরসহ উত্তরাঞ্চলজুড়ে। প্রকৃতিতেও চলছে রুক্ষতা। এর মাঝেও সৌন্দর্য বিলিয়ে দেবার কোনো কমতি নেই। বাংলাদেশের বনবাদাড়ে আর পার্কে কিছু প্রজাতির কাঞ্চনের দেখা মেলে।
শ্বেতকাঞ্চন, রক্তকাঞ্চন এবং অর্কিড কাঞ্চন নামেও বেশকটি প্রজাতি আছে। এগুলোর মধ্যে দেবকাঞ্চন একটি। সাধারণত দুই রঙের ফুল ধরে। হেমন্তের শেষ থেকে শীত অবধি ফুল ফোটে। ফুলের রং হালকা গোলাপি আভাসহ সাদা, অন্যটি হালকা গোলাপি-বেগুনি। প্রস্ফুটন উজ্জ্বলতা ততটা প্রবল না হলেও সুগন্ধের তীব্রতা আছে। শুক্রবার বিকেলে রংপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ঠিক নিচেই একটি ফুলসহ দেবকাঞ্চন গাছ চোখে পড়লো।
ফুল এবং গাছটি নিয়ে বাংলা একাডেমির সহপরিচালক এবং বেগম রোকেয়া স্মৃতিকেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কৃষিবিদ আবিদ করিম মুন্না বলেন, ‘দেবকাঞ্চন মাঝারি আকারের অর্ধ চিরসবুজ গাছ। ৮-১০ মিটার উঁচু গাছটির পাতাসহ মাথা ছড়ানো এবং পাতা মাথার দিকে দুই দিকে বিভক্ত থাকে। ফুল সুগন্ধি। কয়েকটি ফুল মিলে একসাথে একটি ডাঁটায় থাকে। সারা গাছে ফুল ফোটে।
তিনি জানান, ফুল লম্বা ধরনের এবং পাঁচটি পাপড়ি থকে। ফল শিমের মতো চ্যাপ্টা। ভেতরে বীজ থাকে ১২ থেকে ১৬টি। চৈত্র মাসে পাতা ঝরে গেলে ফলগুলো বেশ শব্দ করে ফেটে বীজ ছড়ায়। বীজের মাধ্যমেই মূলত বংশবৃদ্ধি ঘটে। দেবকাঞ্চনের আদি নিবাস হিমালয়ের পাদদেশ ও আসামের পাহাড়ি অঞ্চল। তবে চীন, শ্রীলঙ্কা ও মালেশিয়ায় দেবকাঞ্চনের দেখা পাওয়া যায় এবং বাংলাদেশে এর অবস্থান অনেক আগে থেকে। তবে এটি এখন আর আগের মত দেখা যায়না।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল