রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ মালয়েশিয়া এয়ারলাইনসের এমএইচ৩৭০ উড়োজাহাজের খোঁজে নতুন করে অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে মালয়েশিয়া। ২০১৪ সালের ৮ মার্চ কুয়ালালামপুর থেকে বেইজিংয়ের উদ্দেশে উড্ডয়ন করা উড়োজাহাজটি ২৩৯ জন যাত্রীসহ হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ হারায়। এরপর থেকে এটি নিখোঁজ বিমান হিসেবে এভিয়েশন খাতের সবচেয়ে বড় রহস্যগুলোর একটি হয়ে আছে।
মালয়েশিয়ার পরিবহন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আগামী ৩০ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে ৫৫ দিনের নতুন অনুসন্ধান অভিযান। গত মার্চে অনুসন্ধান শুরু হলেও বৈরী আবহাওয়ার কারণে তা স্থগিত করা হয়। নিখোঁজ যাত্রীদের স্বজনদের প্রতি সরকারের দেওয়া প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে এবার পুনরায় অনুসন্ধান শুরু হচ্ছে।
বোয়িং ৭৭৭ মডেলের এই উড়োজাহাজটির খোঁজে এবার কাজ করবে যুক্তরাজ্যভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ওশান ইনফিনিটি। মালয়েশিয়ার পরিবহন মন্ত্রী লোক সিউ ফুক জানিয়েছেন, উড়োজাহাজের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেলে প্রতিষ্ঠানটি ৫৬ মিলিয়ন পাউন্ড পারিশ্রমিক পাবে; তবে না পেলে কোনো অর্থ দেওয়া হবে না।
এর আগে এমএইচ৩৭০–এর খোঁজে ২৬টি দেশের ৬০টি জাহাজ ও ৫০টি উড়োজাহাজ অংশ নেয়। সেই অনুসন্ধান ২০১৮ সালে শেষ হয়। পরে ওশান ইনফিনিটি আরও একটি অভিযান চালায়, যা তিন মাস পর শেষ হয়।
নিখোঁজের সময় রাডারে দেখা যায়, উড়োজাহাজটি পরিকল্পিত পথ থেকে হঠাৎ সরে গেছে। এরপর থেকেই নানা ষড়যন্ত্র তত্ত্ব ছড়িয়ে পড়ে—যেমন পাইলট ইচ্ছাকৃতভাবে উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত করেছেন কিংবা এটি ছিনতাই হয়েছে। ২০১৮ সালের তদন্তে ধারণা করা হয়েছিল, বিমানের নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ইচ্ছাকৃতভাবে বিকৃত করা হয়েছিল যাতে এটি নির্ধারিত পথ থেকে সরে যায়। তবে সুনির্দিষ্ট কারণ জানা যায়নি। তদন্তকারীরা তখন বলেছিলেন, ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেলে তবেই রহস্যের সমাধান সম্ভব।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল