জুলাই বিপ্লবে শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর তিনি নিজে এবং তার দলের প্রভাবশালী নেতারা পালিয়ে গেলেও সাধারণ কর্মী ও সমর্থকরা দেশেই আছেন। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার কদিন পর থেকেই তারা নানাভাবে সমাজে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালিয়ে আসছেন। গণ অভ্যুত্থান-পরবর্তী বিভিন্ন আন্দোলন, সন্ত্রাস, দুর্বৃত্তায়নে তাদের ইন্ধন ও অংশগ্রহণ প্রমাণিত হয়েছে। তার সঙ্গে ছিল ভারতে আশ্রয় নেওয়া খোদ শেখ হাসিনাসহ শীর্ষস্থানীয় নেতাদের কারও কারও দেশে সহিংসতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির উসকানিমূলক নির্দেশ। লক্ষ্য অন্তর্বর্তী সরকারকে স্থিরভাবে কাজ করতে না দেওয়া। সরকারকে ব্যর্থ প্রমাণ করা। এবং তার মাধ্যমে সরকারের প্রধান নীতিগত কাজ- সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন বিলম্বিত এবং বানচাল করা। এসব বাধা পেরিয়েই সরকার এগোনোর চেষ্টা করে গেছে। এখন সামনে দুটি বড় বিষয় উপস্থিত। প্রথমটি শেখ হাসিনার বিচার। জুলাই আন্দোলন দমনে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনার বিচারিক কার্যক্রম শেষে রায়ের অপেক্ষা। ১৩ নভেম্বর রায়ের দিন ঘোষণা করবেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। এটা সামনে রেখে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ সেদিন ‘লকডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা করায় দেশব্যাপী সাঁড়াশি অভিযান শুরু করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ঢাকায় ঝটিকা মিছিল, অগ্নিসংযোগ, হামলাসহ নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড ঠেকাতে পুলিশ ও গোয়েন্দারা সর্বাত্মক ব্যবস্থা নিয়েছে। কঠোরতার বার্তা দেওয়া হয়েছে পুলিশ প্রশাসনের তৃণমূল পর্যন্ত। পুলিশ সূত্রের মতে, বড় নাশকতা ঘটানোর সক্ষমতা বর্তমানে আওয়ামী লীগের না থাকলেও সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। দলটির নেতা-কর্মীদের ঢাকামুখী যাত্রা ঠেকাতে সব থানাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সমাজমাধ্যমে কোনো পোস্ট দেখে আতঙ্কিত বা বিচলিত না হওয়ার জন্য জনসাধারণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে পুলিশ। যে কোনো অনভিপ্রেত পরিস্থিতি মোকাবিলার সক্ষমতাও রয়েছে বলে দাবি এ বাহিনীর। যেন তাই হয়- কামনা করেন শান্তিপ্রিয় সাধারণ জনগণ। দ্বিতীয় জরুরি বিষয় জাতীয় নির্বাচন। তার আগে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে আরও বড় পরিসরে সারা দেশে চিরুনি অভিযান পরিচালনাসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বস্তুত সবাইকেই কৃতকর্মের ফল ভোগ করতে হয়। এবং কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। এ সত্য চিরকাল প্রমাণ হয়েছে। আবেগের অন্যায্য প্রকাশে আরও অপরাধ সংঘটিত হয়। অপরাধীর পরিণাম ভোগ ঠেকানো যায় না। সামাজিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তা ও রাষ্ট্রীয় সম্পদের বিনষ্টি রোধে সবারই উচিত যে কোনো রকম অপরাধে জড়ানো থেকে বিরত থাকা। আর সরকারের দায়িত্ব প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া। সে ক্ষেত্রে প্রস্তুতি যেন নিশ্ছিদ্র হয়- সেটা নিশ্চিত করা জরুরি।
শিরোনাম
- ৩০০ আসনে রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ দিয়ে ইসির প্রজ্ঞাপন
- মগবাজার, মৌচাক ও মোহাম্মদপুরে ককটেল বিস্ফোরণ
- মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা আজ, কেন্দ্রের গেট বন্ধ হবে সাড়ে ৯টায়
- খালেদা জিয়ার চিকিৎসার সর্বশেষ অবস্থা জানাল মেডিকেল বোর্ড
- আমরা এখনো সিরিয়াস না হলে দেশের অস্তিত্ব হুমকির সম্মুখীন হবে: তারেক রহমান
- যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গীদের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক পেছাল
- মাদকের টাকার জন্য নিজের ঘরে আগুন দিল যুবক
- তানজানিয়ায় নির্বাচনী সহিংসতা, দুই হাজারের বেশি নিহত
- লালবাগে ছুরিকাঘাতে যুবক খুন
- এশিয়া কাপের হ্যাটট্রিক শিরোপা জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী হাকিম
- মাদারীপুরে আন্তঃকলেজ ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন
- জবিতে তিন দফা দাবিতে ভিসি ভবন ঘেরাওয়ের হুশিয়ারি
- তফসিল ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে খেলাফত মজলিস
- সিরিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ অনিবার্য: ইসরায়েলি মন্ত্রী
- ভেনেজুয়েলার ন্যাশনাল গার্ড মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে: জাতিসংঘ
- জাতি একটি ভালো নির্বাচনের অপেক্ষায় আছে: দুলু
- রেকর্ড ৯০১ বিলিয়ন ডলারের প্রতিরক্ষা ব্যয় বিল পাস যুক্তরাষ্ট্রের
- মাইজভাণ্ডারী যুব ফোরামের উদ্যোগে ‘ক্যারিয়ার গাইডেন্স’ সেমিনার
- লালমনিরহাটে জন্মান্ধ হাফেজার পাশে বিএনপি নেতা দুলু
- চীন-ভারতসহ কয়েকটি দেশের পণ্যে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্কারোপ মেক্সিকোর