চট্টগ্রাম মা ও শিশু হসপিটাল মেডিকেল কলেজের বৈজ্ঞানিক সেমিনারে পাঁচটি দেশের ৭৫০ জন চিকিৎসকের মিলনমেলা বসবে। আগামী ২৮ নভেম্বর শুক্রবার চতুর্থ আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক সেমিনারটি নগরের চট্টগ্রাম ক্লাবে অনুষ্ঠিত হবে।
সেমিনারের ১৭টি সেশনে ৮৯টি বিষয়ের ওপর পেপার উপস্থাপন করা হবে। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন সরকারের স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নুরজাহান বেগম। মঙ্গলবার দুপুরে হাসপাতালের কনফারেন্স হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
এতে বক্তব্য রাখেন হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি এস এম মোরশেদ হোসেন, মা ও শিশু হসপিটাল মেডিকেল কলেজ শিক্ষক সমিতির চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. অসীম কুমার বড়–য়া, ভাইস চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. এম জালাল উদ্দিন, জেনারেল সেক্রেটারি প্রফেসর ডা. অলক নন্দী। উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক সমিতির সংস্কৃতি ও বিনোদন সম্পাদক ডা. ফাহিম হাসান রেজা প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ১৭টি সেশনে মোট ৮৯টি বিষয়ের ওপর পেপার উপস্থাপন করা হবে। এর মধ্যে মেডিসিন বিষয়ক ৪০টি, সার্জারি বিষয়ক ২৫টি, গাইনি বিষয়ক ১২টি, দন্ত, বেসিক মেডিসিন সাইয়েন্স ও মেডিকেল শিক্ষা বিষয়ক ১২টি। সেমিনারে অংশগ্রহণ করা দেশগুলো হলো- বাংলাদেশ, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, ভারত ও মিশর। তাছাড়া, নেপালের ছয়জন শিক্ষার্থীও কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করবেন।
হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি এস এম মোরশেদ হোসেন বলেন, রোগ ও রোগের সঠিক চিকিৎসায় গবেষণার কোনো বিকল্প নেই। চতুর্থ বৈজ্ঞানিক সেমিনারে ৮৯টি বিষয়ের ওপর গবেষণা পত্র উপস্থাপন করা হবে। এটি অনেক বড় একটি বিষয়। গবেষণার মাধ্যমে চিকিৎসায় নতুন নতুন পদ্ধতি উদ্ভাবন করা সম্ভব হবে।
মা ও শিশু হসপিটাল মেডিকেল কলেজ শিক্ষক সমিতির চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. অসীম কুমার বড়ুয়া বলেন, পাঁচটি দেশের গবেষকরা নিজস্ব গবেষণাপত্র সেমিনারে উপস্থাপন করবেন। নবীন চিকিৎসকরা এসব গবেষণা থেকে আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে উদ্ভাবিত নানা পদ্ধতি শিখতে পারবেন।
কলেজ শিক্ষক সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. এম. জালাল উদ্দিন বলেন, প্রতি বছর দেশে চিকিৎসা বিষয়ক প্রায় তিন হাজার গবেষণাপত্র বের হয়। সরকার যদি এসব গবেষণা সমন্বয় করে প্রকাশ এবং সে অনুযায়ী কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করত, তাহলে দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা আরও অনেক দূর এগিয়ে যেত।
কলেজ শিক্ষক সমিতির জেনারেল সেক্রেটারি প্রফেসর ডা. অলক নন্দী বলেন, বিভিন্ন সেশনে গবেষকরা হাতে-কলমে চিকিৎসা বিষয়ক সর্বশেষ উদ্ভাবনটি উপস্থাপন করবেন। একজন নবীন চিকিৎসকের জন্য এটি অনেক বড় প্রাপ্তি।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল