নরসিংদীতে বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের ৩৫ জন আহত ও তিনজন নিখোঁজ হয়েছে বলে দুই দলের নেতারা দাবি করেছেন। গতকাল সন্ধ্যায় শেখেরচর মাজার বাসস্ট্যান্ড নিহার উদ্দিন চেয়ারম্যান মার্কেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপরই জামায়াত প্রতিবাদ মিছিল ও সংবাদ সম্মেলন করেছে। এতে নিজেদের ৩০ জন আহত ও তিনজন নিখোঁজ হয়েছে বলে দাবি করেন জামায়াত নেতারা।
এর মধ্যে সাতজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে বলে জানান। অপরদিকে স্থানীয় বিএনপি নেতারা দাবি করেছেন জামায়াতের হামলায় তাদের পাঁচ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। এর মধ্যে গুরুতর আহত মেহেরপাড়া ইউনিয়ন তাঁতীদলের সভাপতি বখতিয়ার হোসেন, ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক দুখু মিয়াসহ তিনজনকে গুরুতর আহতাবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গতকাল রাত সাড়ে ৮টায় নরসিংদী শহরের ব্রাহ্মন্দীতে জেলা জামায়াত কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নরসিংদী-২ (পলাশ) নির্বাচনি এলাকায় জামায়াতের নির্বাচনি সভায় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীদের হামলার অভিযোগ করেছেন নরসিংদী জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা আমজাদ হোসাইন। এতে ছাত্রশিবিরসহ তাদের ৩০ জন নেতা-কর্মী আহত এবং তিনজন নেতা-কর্মী নিখোঁজ বলেও দাবি করেন তিনি। এর মধ্যে সাতজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। মেহেরপাড়া ইউনিয়নের তাঁতীদল নেতা বখতিয়ার হোসেন বখতিয়ারের নেতৃত্বে হামলা হয় বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এদিকে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে উল্টো জামায়াতের হামলায় বিএনপির পাঁচ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে মেহেরপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবদুর রশিদ মিয়া। তিনি বলেন বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের কোনো সংঘর্ষ হয়নি। সেখানে জামায়াতের একটি প্রোগ্রাম থেকে বিএনপিকে নিয়ে কুরুচিপূর্র্ণ বক্তব্য দিয়েছেন জামায়াতের এক নেতা। সেখানে মেহেরপাড়া ইউনিয়ন তাঁতীদলের সভাপতি বক্তিয়ার হোসেনের দোকান। তিনি বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ জানান। পরে প্রোগ্রাম শেষে জামায়াত নেতা-কর্মীরা এসে বখতিয়ারের ওপর আক্রমণ করেন। ওই সময় তাকে বাঁচাতে তার ছেলেসহ কয়েক জন এগিয়ে যায়। এতে বখতিয়ারসহ দুজন গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন। তাদের ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে।