বাংলাদেশের সড়ক ব্যবহার করে ভারতের ভিতর দিয়ে ভুটানে ট্রান্সশিপমেন্ট পণ্য নেওয়ার অনুমোদন দেয়নি ভারত। ফলে ভুটানের পণ্য বুড়িমারী স্থলবন্দরে তিন দিন ধরে আটকা পড়ে আছে।
২০২৩ সালের ২২ মার্চ বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে প্রটোকল চুক্তি হয়। পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত হয়, বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দর ও সড়ক এবং ভারতের সড়ক ব্যবহার করে ভুটানে পরীক্ষামূলকভাবে দুটি চালান পাঠানো হবে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী থাইল্যান্ড থেকে ভুটানের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ফলজুস, জেলি, শুকনো ফল, লিচু ফ্লেভারের ক্যান্ডি ও শ্যাম্পু আমদানি করে। ওই চালান চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে বুড়িমারী স্থলবন্দরে পাঠানো হয়। শুক্রবার থেকে গতকাল পর্যন্ত তিন দিন বুড়িমারীর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট বেনকো লিমিটেড চেষ্টা করেও চালানটি ভারতের চ্যাংড়াবান্ধা স্থলবন্দরে প্রবেশ করাতে ব্যর্থ হয়।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, ভারতের সড়কপথ হয়ে ভুটানে এসব পণ্য যেতে প্রয়োজনীয় অনুমোদন চ্যাংড়াবান্ধা স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ পায়নি। বেনকো লিমিটেডের মালিক ফারুক হোসেন বলেন, ‘ভারত এখনো অনুমতি দেয়নি। তাই চালানটি পাঠানো যাচ্ছে না।’ বুড়িমারী স্থল শুল্ক স্টেশনের সহকারী কমিশনার (এসি) দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘চালানের সব কাস্টমস প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। ভারতীয় কাস্টমস থেকে অনুমতি পেলেই চালানটি ভুটানে পাঠাতে পারব।