বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও সাবেক এমপি সাকিব আল হাসানসহ মোট ১৫ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা শেয়ারবাজার কারসাজি মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৩ মার্চ দিন ধার্য করেছেন আদালত। গতকাল ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক সাব্বির ফয়েজ এ আদেশ দেন। এর আগে দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন বাদী হয়ে পুঁজিবাজারে কারসাজি, প্রতারণা ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন। নির্ধারিত দিনে তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে প্রতিবেদন দাখিল না করায় বিচারক নতুন দিন ধার্য করেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- সমবায় অধিদপ্তরের উপনিবন্ধক আবুল খায়ের (হিরু), তার স্ত্রী কাজী সাদিয়া হাসান, আবুল কালাম মাদবর, কনিকা আফরোজ, মোহাম্মদ বাশার, সাজেদ মাদবর, আলেয়া বেগম, কাজি ফুয়াদ হাসান, কাজি ফরিদ হাসান, শিরিন আক্তার, জাভেদ এ মতিন, জাহেদ কামাল, হুমায়ূন কবির ও তানভীর নিজাম।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, আসামিরা নিজেদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিও অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে অবৈধভাবে সিরিজ ট্রানজেকশন, প্রতারণামূলক একটিভ ট্রেডিং, গ্যাম্বলিং ও স্পেকুলেশনের মাধ্যমে পুঁজিবাজারে কৃত্রিমভাবে কিছু নির্দিষ্ট শেয়ারের দাম বাড়িয়ে বাজারে কারসাজি করেন। এতে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা প্রতারিত হয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ হারান। এ কারসাজির মাধ্যমে মোট ২৫৬ কোটি ৯৭ লাখ ৭০ হাজার ৩০৪ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
এর মধ্যে আবুল খায়ের (হিরু) ও তার স্ত্রী কাজী সাদিয়া হাসান ২৯ কোটি ৯৪ লাখ ৪২ হাজার ১৮৫ টাকার উৎস গোপন রেখে বিভিন্ন খাতে স্থানান্তর করেন। তদন্তে তার নামে পরিচালিত ১৭টি ব্যাংক হিসাব থেকে ৫৪২ কোটি টাকার বেশি অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্যও পাওয়া গেছে।
অভিযোগে আরও বলা হয়, আবুল খায়েরের কারসাজিকৃত তিনটি প্রতিষ্ঠান প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স, ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্স এবং সোনালি পেপারসের শেয়ারে বিনিয়োগ করেন সাকিব আল হাসান। এর মাধ্যমে বাজারে কারসাজিতে সহায়তা করে সাকিব মোট ২ কোটি ৯৫ লাখ ২ হাজার ৯১৫ টাকা ‘রিয়ালাইজড ক্যাপিটাল গেইন’ হিসেবে উত্তোলন করেন।