রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল ট্র্যাজেডির চার মাস পর হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরল শিক্ষার্থী সাইয়েবা মেহজাবিন (১১)। গতকাল জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট থেকে তাকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. নাসির উদ্দিন বলেন, সাইয়েবার ২২ শতাংশ দগ্ধ ছিল। কিন্তু দীর্ঘ ১২৮ দিনের এই যে যাত্রা, রোগী হিসেবে সে ছিল খুবই ক্রিটিকাল। প্রথমে ওর শারীরিক যে অবস্থা ছিল তার উন্নতির জন্য হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগের চিকিৎসকদের সহযোগিতা নিতে হয়েছে। অন্য মানুষের শরীরের চামড়া এনে ওর শরীরে লাগানো হয়েছে। ইনস্টিটিউটে সাইয়েবার শরীরে মোট ড্রেসিং করা হয়েছে ৭২ বার। আর চামড়া প্রতিস্থাপন করা হয়েছে ছয়বার। কয়েক দফায় আইসিইউতে ছিল সে।
তিনি জানান, এর আগে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে গুরুতর দগ্ধ ৩৫ জন। এখনো ভর্তি আছে আবিদুর রহমান নামে আরেক ছাত্র। তার শরীরেও ২২ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। খুব দ্রুত তাকেও ছেড়ে দেওয়া হবে।
অধ্যাপক ডা. রবিউল করিম খান পাপন বলেন, ওদের চিকিৎসা জার্নিটা এখনো শেষ হয়নি। ওরা সাইকোলজিক্যাল ট্রমা আজীবন বহন করবে। তবে আমরা ওদের পরবর্তী চিকিৎসা নিশ্চিতের চেষ্টা করব।
এ সময় চিকিৎসকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সাইয়েবার মা শারমিন ইয়াসমিন বলেন, মেয়েকে নিয়ে আমরা একটি ট্রমার মধ্যে ছিলাম। চিকিৎসকরা অনেক চেষ্টা করেছেন ওর জন্য। আগামী জানুয়ারিতে সে আবার স্কুলে যেতে পারবে বলে চিকিৎসকরা বলেছেন।
তিনি বলেন, গত পরশুদিন তার ক্লাস পার্টি ছিল। সে বলছিল, আম্মু আমি ক্লাস পার্টিতে যাব। ডাক্টারকে বলো না; আমাকে ছুটি দিতে। সাইয়েবার বাবা মো জহুরুল ইসলাম জানান, তাদের বাসা তুরাগের নলভোগ এলাকায়। মাইলস্টোন স্কুলের ৪র্থ শ্রেণিতে পড়ে সাইয়েবা।