রুশ আগ্রাসন বন্ধে শান্তি প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনায় ইউক্রেনের অংশগ্রহণ না থাকায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির প্রতি কিছুটা হতাশার কথা ব্যক্ত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। রবিবার ওয়াশিংটন থেকে ফরাসি বার্তাসংস্থা এএফপি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। কেনেডি সেন্টার হলে সম্মাননা অনুষ্ঠানের লাল গালিচায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে কথা বলেছি। প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি ও ইউক্রেনের নেতাদের সঙ্গেও কথা বলেছি। আমাকে বলতে হয়, কয়েক ঘণ্টা আগেও প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি প্রস্তাবটি পড়েননি জেনে আমি কিছুটা হতাশ হয়েছি।’ মার্কিন ও ইউক্রেনীয় কর্মকর্তাদের কয়েক দিনের আলোচনায় জেলেনস্কিও ছিলেন, তবে শনিবার কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি ছাড়াই তা শেষ হয়। তবে জেলেনস্কি ‘বাস্তব শান্তির’ লক্ষ্যে আরও আলোচনায় যেতে সম্মতি জানান। যুক্তরাষ্ট্রের দূত স্টিভ উইটকফ ও জারেড কুশনারের মস্কোয় প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের পর এই আলোচনা শুরু হয়। সেখানে মার্কিন প্রস্তাবের কিছু অংশ মস্কো সরাসরি প্রত্যাখ্যান করে। গত মাসে প্রথম আলোচনায় এলে মার্কিন শান্তি পরিকল্পনাটির খসড়া একাধিকবার বদলানো হয়েছে। সমালোচকরা এটিকে রাশিয়ার প্রতি অতিরিক্ত নমনীয় বলে উল্লেখ করেন। এদিকে ইউক্রেনের আরও দুটি গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল দখলের দাবি করেছে রাশিয়া। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় শান্তি আলোচনার মধ্যেই ইউক্রেনের খারকোভ ও দোনেৎস্কের দুটি বসতির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে তারা। এ খবর জানিয়েছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম। -এএফপি।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাইডেড বোমা, ড্রোন ও কিনঝাল মিসাইল ছুড়েছে সেনারা। ধ্বংস করেছে ইউক্রেনের যোগাযোগ ও সামরিক অবকাঠামো এবং জ্বালানি ডিপো। দোনেৎস্কের দিমিত্রোভ এলাকায় ইউক্রেনীয় বাহিনীকে ঘিরে ফেলেছে বলেও দাবি করেছে। অপরদিকে, গ্রিশিনো এলাকা থেকে পিছু হটেছে ইউক্রেনীয় সেনারা। যদিও পুতিন বাহিনীর কাছে নতুন করে ভূখণ্ড হারানোর কথা স্বীকার করেনি কিয়েভ। প্রতিরক্ষা লাইনে লড়াই অব্যাহত রয়েছে বলে দাবি করেছে তারা।
ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ড জানিয়েছে, পোক্রোভোস্কে রুশ সেনাদের লক্ষ্য করে বড় ধরনের হামলা চালিয়েছে তারা। মিরনোরাদ থেকে পিছু হটেছে রুশ সেনারা। খারকিভের একটি বাঁধ ঘিরেও রুশ সেনারা আটকা পড়েছে বলে দাবি কিয়েভের। এদিকে, রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত নিরসনে একটি শান্তি চুক্তির খুব কাছাকাছি পৌঁছানো গেছে বলে দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে এ চুক্তির ভিত্তি হিসেবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের যে প্রস্তাবটিকে ধরা হচ্ছে, তাতে বড় পরিবর্তন আনার প্রয়োজনীয়তার কথা জানিয়েছে মস্কো। -আনাদোলু এজেন্সি