মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক চাপ সত্ত্বেও ভারতকে নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহে প্রস্তুত রাশিয়া। এমন আশ্বাস দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন। দিল্লিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পাশে দাঁড়িয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানের তীব্র সমালোচনা করেন পুতিন। যেখানে ওয়াশিংটন নিজেই মস্কো থেকে পারমাণবিক জ্বালানি কিনছে, সেখানে ভারতের ওপর বিধিনিষেধের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। ভারতের সবচেয়ে বড় পারমাণবিক বিদ্যুৎে কেন্দ্র কুদানকুলাম নির্মাণে একটি ফ্ল্যাগশিপ প্রকল্প পরিচালনার কথাও জানান পুতিন। তিনি বলেন, ছয়টির মধ্যে দুটি রিঅ্যাক্টর ইউনিট এরই মধ্যে জ্বালানি নেটওয়ার্কে যুক্ত হয়েছে। কেন্দ্রটি পুরোপুরি চালু হলে ভারতের জ্বালানি চাহিদা পূরণে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে বলে আশাবাদ জানান পুতিন। দুই দিনের ভারত সফর শেষে শুক্রবার রাশিয়ার উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। ভারতের বেশির ভাগ পণ্যের ওপরই ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার অভিযোগ, রাশিয়া থেকে তেল কিনে ইউক্রেন যুদ্ধের অর্থায়নে সহায়তা করছে ভারত। যদিও এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে দিল্লি। এদিকে রাশিয়ার নাগরিকদের জন্য ৩০ দিনের ফ্রি পর্যটক ভিসা চালু করছে ভারত। শুক্রবার নয়াদিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে বৈঠকের পর রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সংবাদ সম্মেলনে ভারত ও রাশিয়ার সাংস্কৃতিক সম্পর্কের গুরুত্ব তুলে ধরে নরেন্দ্র মোদি বলেন, দুই দেশের নাগরিকদের মধ্যে সংযোগ সবসময়ই দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।-বিবিসি
সে বিবেচনায় রাশিয়ার নাগরিকদের জন্য ভারত ৩০ দিনের ফ্রি ই-পর্যটক ভিসা এবং ৩০ দিনের গ্রুপ পর্যটক ভিসা চালু করবে। তিনি বলেন, সম্প্রতি রাশিয়ায় দুটি নতুন ভারতীয় কনস্যুলেট খোলা হয়েছে। এটি দুই দেশের নাগরিকদের মধ্যে যোগাযোগ আরও সহজ করবে, পারস্পরিক ঘনিষ্ঠতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে। তিনি আরও বলেন, এই কনস্যুলেটগুলো আমাদের কূটনৈতিক উপস্থিতি বাড়াবে। একই সঙ্গে বাণিজ্য, পর্যটন, অর্থনীতি, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং শিক্ষাগত ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক আরও বাড়ানোর জন্য উদ্বুদ্ধ করবে।