পাকিস্তানের কারাবন্দি নেতা ইমরান খানের শারীরিক অবস্থা এবং এ ইস্যুতে ইসলামাবাদের নিশ্চুপ থাকার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধান বিরোধীদল কংগ্রেসের জ্যেষ্ঠ নেতা ও এমপি শশী থারুর। এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নিজের এ উদ্বেগের কথা জানান তিনি। গত শুক্রবার এএনআইকে শশী থারুর বলেন, ‘যদিও আমি মনে করি যে অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে নাক গলানো উচিত নয়, তবে ইমরান খানের ইস্যুটি অবশ্যই খানিকটা হলেও উদ্বেগজনক এবং তার প্রধান কারণ এ ব্যাপারে পাকিস্তানের সরকারের নিশ্চুপ থাকার ব্যাপারটি। ইসলামাবাদের নিশ্চুপ থাকার জেরে বিভিন্ন গুজব উঠছে এবং জনগণের উদ্বেগও বাড়ছে। অনেকে বলছেন, সবচেয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত ব্যাপারটি (কারাগারে ইমরান খানের মৃত্যু) ঘটে গেছে। কিন্তু তার পরও পাকিস্তান সরকার এ ব্যাপারে স্পষ্ট করে কিছু বলছে না। এ ধরনের নীরবতা খারাপ।’
সম্প্রতি ইমরান খানের বর্তমান অবস্থা জানতে চেয়ে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করেছেন ইমরান খানের ছোট ছেলে কাসিম খান। সাক্ষাৎকারে সে বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আপনারা নিশ্চয়ই তাঁর ছেলের বার্তা দেখেছেন। তার ছেলে বাবা জীবিত থাকার প্রমাণ দাবি করেছে। সে দাবি জানানোর পরও আপাতভাবে এখন পর্যন্ত এমন কোনো প্রমাণ কেউ হাজির করেনি। এটা অবশ্যই উদ্বেগের ব্যাপার।’
‘আমি ভারতের একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে এসব কথা বলছি। এটা আমাদের কূটনীতির অংশ নয় এবং পুরোপুরি পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। আমি যা বলছি- পুরোপুরি মানবিক জায়গা থেকে। তিনি একজন ভদ্রলোক, একজন ক্রিকেট কিংবদন্তি এবং বিশ্বজুড়ে তার ভক্ত-অনুরাগী ছড়িয়ে আছে।’ ‘আরেকটি কথা হলো, আপনি চাইলেই কাউকে কারাগারে পাঠাতে বা গুম করে ফেলতে পারেন না। তাই আমার মতে, ইমরান খানের সর্বশেষ অবস্থা ইসলামাবাদের স্পষ্ট করা উচিত।’
প্রসঙ্গত, কিংবদন্তি ক্রিকেটার থেকে জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ বনে যাওয়া ইমরান খান সেনাবাহিনীর সমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় আসেন ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে জয়ের পর। তবে দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের শীর্ষ নির্বাহীর পদে কে আরোহন করবেন- তা নিয়ে সেনাবাহিনীর সঙ্গে দ্বন্দ্বের জেরে সংকটে পড়েন তিনি। পরে ২০২২ সালের পার্লামেন্টের বিরোধী সদস্যদের অনাস্থাভোটে ক্ষমতাচ্যুত হন তিনি। এদিকে ক্ষমতা হারানোর পরপরই একের পর এক মামলা দায়ের হতে থাকে ইমরান খানের বিরুদ্ধে। সেসব মামলার দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে ২০২৩ সাল থেকে পাকিস্তানের আদিয়ালা কারাগারে আছেন তিনি। সূত্র : ফার্স্টপোস্ট