ইন্দোনেশিয়া ও থাইল্যান্ডে ভয়াবহ বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৬৫-তে দাঁড়িয়েছে। শুধু ইন্দোনেশিয়ায় এ পর্যন্ত ৩০৩ জন মারা গেছে। থাইল্যান্ডে মারা গেছে ১৬২ জন। গতকাল ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা (বিএনপিবি) জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর বিপর্যয়কর বন্যায় ডুবে যাওয়া বেশ কয়েকটি এলাকায় পৌঁছতে উদ্ধারকারীরা লড়াই করে চলছেন। পশ্চিম সুমাত্রার আগাম জেলায় এখনো শতাধিক মানুষ নিখোঁজ রয়েছে। এসব এলাকায় ৫০০ জনের বেশি আহত হয়েছে বলে বিএনপিবি জানিয়েছে। সংস্থাটির প্রধান সুহরিয়ানতো বলেছেন, ‘মৃতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ এখনো অনেক মৃতদেহ খুঁজে পাওয়া যায়নি, অনেকের কাছে পৌঁছানোও যায়নি।’ পশ্চিম সুমাত্রার আঞ্চলিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার মুখপাত্র ইলহাম ওয়াহাব বলেছেন, ‘পশ্চিম সুমাত্রাজুড়ে ৭৫ হাজার ২১৯ জন বাস্তুচ্যুত এবং ১ লাখ ৬ হাজার ৮০৬ জন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
থাইল্যান্ডে নিহত বেড়ে ১৬২ : থাইল্যান্ডে ভয়াবহ বন্যায় গত কয়েক দিনে কমপক্ষে ১৬২ জনের প্রাণহানি ঘটেছে বলে দেশটির সরকার জানিয়েছে। ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট এ বন্যায় লাখ লাখ মানুষ ক্ষয়ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছে। গতকাল দেশটির প্রধানমন্ত্রী আনুতিন চার্নভিরাকুল ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় জরুরি ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছেন।
ব্যাংককে সংবাদ সম্মেলনে দেশটির সরকারের মুখপাত্র সিরিপং আংকাসাকুলকিয়াত বলেছেন, বন্যায় দেশের আটটি প্রদেশে ১৬২ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
এর মধ্যে সঙখলা প্রদেশে সর্বোচ্চ ১২৬ জন মারা গেছে। দেশটিতে ভয়াবহ এ বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি ও ব্যাপক হতাহতের ঘটনায় সরকারের তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে। শনিবার থাই প্রধানমন্ত্রী আনুতিন সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেছেন, সরকারের বন্যা ব্যবস্থাপনায় যে ঘাটতি দেখা গেছে, তা তিনি স্বীকার করছেন।
তিনি বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে আগামী সপ্তাহে ক্ষতিপূরণ বিতরণ শুরু হবে। এ সময় ঋণ স্থগিত, ব্যবসা ও ঘরবাড়ি মেরামতের জন্য স্বল্পমেয়াদি সুদবিহীন ঋণসহ অতিরিক্ত সহায়তা দেওয়া হবে।’