বিশ্বের সবচেয়ে কম বয়সি আফ্রিকার দেশ দক্ষিণ সুদানের প্রায় অর্ধেক জনসংখ্যা তীব্র অনাহারের মুখোমুখি হয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক দাতব্য সংস্থা অক্সফাম গতকাল জানিয়েছে, পশ্চিমা দেশগুলো সহায়তা কমিয়ে দেওয়ায় দেশটি এ অবস্থার মোকাবিলা করছে। দেশটি এত কম মানবিক সাহায্য অতীতে কখনো পায়নি।
দাতব্য সংস্থাটি জানিয়েছে, পশ্চিমা দেশগুলো সাহায্য বাজেট কমিয়ে দেওয়ার ফলে দক্ষিণ সুদান ২০২৫ সালের জন্য ১ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারের মানবিক পরিকল্পনার মাত্র ৪০ শতাংশ পেয়েছে। অক্সফাম আরও জানায়, দক্ষিণ সুদানে এখন প্রায় ৬০ লাখ মানুষ ক্ষুধার্ত অবস্থায় রয়েছে এবং তাদের বিশুদ্ধ পানি ও স্যানিটেশনের খুব কম সুবিধা রয়েছে। এপ্রিলের মধ্যে ৭৫ লাখ মানুষ এ পরিস্থিতির মধ্যে পড়বে। দক্ষিণ সুদানের সম্পদশালী অভিজাতরা তেলসম্পদ চুরির মতো দুর্নীতির ফলে দেশটিতে প্রায় কোনো মৌলিক পরিষেবা নেই। অক্সফামের দক্ষিণ সুদানের কান্ট্রি ডিরেক্টর শবনম বালুচ বিবৃতিতে বলেছেন, ‘এটা এমন একটা অবস্থা, যেন বিশ্ব এমন একসময় তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে, যখন বেঁচে থাকার জন্য তাদের সবচেয়ে বেশি সাহায্যের প্রয়োজন।-এএফপি
এমন এক মুহূর্তে বিশ্ব তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে রেখেছে, যখন তাদের অস্তিত্ব ঝুঁকির মুখে রয়েছে।’ দক্ষিণ সুদান ২০১১ সালে স্বাধীনতা লাভ করে। এর পরপরই দেশটিতে গৃহযুদ্ধ বেধে যায়। পাঁচ বছরের ভয়াবহ গৃহযুদ্ধের ফলে দেশটির ২ মিলিয়নের বেশি লোক বাস্তুচ্যুত হয় এবং শান্তিচুক্তি বাতিল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এ বছর আবারও নতুন করে সংঘাতের আশঙ্কা রয়েছে। প্রতিবেশী দেশ যুদ্ধে বিপর্যস্ত সুদানের লাখ লাখ শরণার্থীকেও দক্ষিণ সুদান আশ্রয় দিচ্ছে। সীমান্ত শহর রেঙ্কের ট্রানজিট সেন্টারে প্রতিদিন ১ হাজার মানুষ আসে। অক্সফামকে আগামী মাসে সেখানে তাদের কার্যক্রম ৭০ শতাংশ কমিয়ে আনতে বাধ্য করা হচ্ছে। দাতব্য সংস্থাটি জানিয়েছে, ফেব্রুয়ারির মধ্যে নতুন তহবিল না পেলে তারা সম্পূর্ণভাবে তাদের কার্যক্রম বন্ধ করে দেবে। -এএফপি