সার্বিয়ার একমাত্র তেল শোধনাগার রাশিয়ার মালিকানায় হওয়ায় মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় পড়েছে। এটির কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছেন সার্বিয়ার কর্মকর্তারা। রাশিয়ার জ্বালানি খাতের ওপর নিষেধাজ্ঞার অংশ হিসেবে গত মাস থেকে সার্বিয়ার পেট্রোলিয়াম ইন্ডাস্ট্রি (এনআইএস) ওয়াশিংটনের নিষেধাজ্ঞার কবলে রয়েছে। ফলে আসন্ন জ্বালানিসংকট মোকাবিলায় বেলগ্রেড সমাধান খুঁজতে হিমশিম খাচ্ছে। সার্বিয়ার জ্বালানিমন্ত্রী দুব্রাভকা জেদোভিচ হানদানোভিচ গত মাসের শেষের দিকে বলেছিলেন, পানচেভো তেল শোধনাগার ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত কোনো বাধা ছাড়াই কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে পারবে। -এএফপি
সার্বিয়ার সরকার জানিয়েছে, তারা শোধনাগার বন্ধের প্রস্তুতি হিসেবে জ্বালানি মজুত করেছে এবং ডিসেম্বরের জন্য নতুন আমদানি চুক্তি করেছে। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছেন, কেবল আমদানি দিয়ে এনআইএসকে টিকিয়ে রাখা সম্ভব নয়। বেলগ্রেডভিত্তিক অর্থনীতিবিদ গোরান রাদোসাভলজেভিচ বলেন, ‘এনআইএসের উৎপাদন মোট চাহিদার প্রায় ৮০ শতাংশ পূরণ করত। আর আমদানি ছিল প্রায় ২০ শতাংশ।’ তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘এত বড় অংশ আমদানির মাধ্যমে প্রতিস্থাপন করা কঠিন হবে। অতিরিক্ত আমদানির মাধ্যমে কয়েক মাসের জন্য চাহিদা পূরণ করা যেতে পারে। কিন্তু এনআইএস যদি আর কার্যক্রম চালাতে না পারে, তাহলে দেউলিয়া হয়ে যাবে।’
সার্বিয়া ২০০৮ সালে এনআইএসের ৫১ শতাংশ শেয়ার গ্যাজপ্রম ও গ্যাজপ্রম নেফটকে ৪০০ মিলিয়ন ইউরোর (৪৬২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) বিনিময়ে বিক্রি করে, যা একটি বৃহত্তর চুক্তির অংশ ছিল। আর সার্বিয়া রাষ্ট্র এনআইএসের প্রায় ৩০ শতাংশ শেয়ার ধরে রেখেছে এবং বাকি অংশ সংখ্যালঘু শেয়ারহোল্ডারদের হাতে রয়েছে। সার্বিয়ার কর্মকর্তারা বারবার সতর্ক করেছেন, এনআইএসের জন্য একটি সমাধান খুঁজে বের করতে হবে এবং বিকল্প না থাকলে রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণের সম্ভাবনা ক্রমে বাড়বে। -এএফপি