ভারতের শীর্ষ আদালত সুপ্রিম কোর্টের ৫৩তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন বিচারপতি সূর্যকান্ত। বিদায়ি প্রধান বিচারপতি বি আর গভাই অবসর নেওয়ার পর তাঁর স্থলাভিষিক্ত হলেন ৬৩ বছর বয়সি সূর্যকান্ত। ২০২৭ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই পদে বহাল থাকবেন তিনি। গতকাল রাষ্ট্রপতি ভবনে তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান দেশটির রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দেশটির উপরাষ্ট্রপতি সিপি রাধাকৃষ্ণান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জয়প্রকাশ নাড্ডা, বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়াল, আইনমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল, লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাসহ মন্ত্রিসভার সদস্য, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তা, দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভিকে সাক্সেনাসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। পাশাপাশি ভুটান, কেনিয়া, মালয়েশিয়া, মরিসাস, নেপাল ও শ্রীলঙ্কার প্রধান বিচারপতি, বিচারপতি এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যরা জমকালো এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন।
১৯৬২ সালে হরিয়ানার হিসার জেলার পেটওয়ার গ্রামে এক মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন বিচারপতি সূর্যকান্ত। ১৯৮১ সালে গভর্নমেন্ট পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কলেজ থেকে স্নাতক পাস করেন। ১৯৮৪ সালে রোহতাকের মহাঋষি দয়ানন্দ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে স্নাতক এবং ২০১১ সালে কুরুক্ষেত্র বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট হয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন তিনি। ১৯৮৪ সালে আইনজীবী হিসেবে হিসারে শুরু হয় তাঁর কর্মজীবন। পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাই কোর্টে প্র্যাকটিসের প্রয়োজনে পরবর্তী সময়ে তিনি চণ্ডীগড়ে চলে আসেন। ২০০০ সালে হরিয়ানার কনিষ্ঠতম অ্যাডভোকেট জেনারেল হন সূর্যকান্ত। ২০০৪ সালের ৯ জানুয়ারি পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাই কোর্টের স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে তাঁকে নিযুক্ত করা হয়। পরবর্তী সময়ে ২০১৮ সালের ৫ অক্টোবর হিমাচল প্রদেশ হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত হন। ২০১৯ সালের ৯ মে ভারতের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্ট কলেজিয়াম তাঁকে ভারতের শীর্ষ আদালতে পদোন্নতির সুপারিশ করেন। এরপর ২০১৯ সালের ২৪ মে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি নিযুক্ত হন।