দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠিত জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন বয়কট করায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমালোচনা করেছেন জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্জ। রবিবার সম্মেলনের ফাঁকে তিনি এ সমলোচনা করেন। এর আগে শনিবার প্রথমবারের মতো আফ্রিকার কোনো দেশে জি-২০ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনের প্রথম দিন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসার বিশ্ব নেতাদের উদ্দেশে ভাষণ দেন। তবে আয়োজক দেশের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু শ্বেতাঙ্গদের নির্যাতনের অভিযোগ তুলে সম্মেলনে অংশ নেয়নি হোয়াইট হাউস। এমনকি ট্রাম্প প্রশাসনের আপত্তি সত্ত্বেও সম্মেলনে জলবায়ু পরিবর্তন ও অন্যান্য বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় একটি ঘোষণাপত্র গৃহীত হয়।
সম্মেলনের ফাঁকে জার্মান চ্যান্সেলর বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সম্মেলনে অনুপস্থিত থাকাটা ভালো সিদ্ধান্ত হয়নি। আমেরিকান সরকারকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তিনি আরও বলেন, বিশ্ব বর্তমানে পুনর্বিন্যাসের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে এবং এখানে নতুন সংযোগ তৈরি হচ্ছে। মের্জ বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসার শীর্ষ সম্মেলনের সমাপনী বক্তব্যের আগ পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তুলনামূলকভাবে গৌণ ভূমিকা পালন করেছিল। যিনি ২০২৬ সালে পরবর্তী আয়োজক হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে পরবর্তী সম্মেলনের সভাপতিত্ব হস্তান্তর করেছিলেন। তাই এখানে অনেক কিছু ঘটেছিল। ট্রাম্প শ্বেতাঙ্গ কৃষকদের ওপর নির্যাতন ও হত্যার অভিযোগের কোনো প্রমাণ ছাড়াই অনুপস্থিত ছিলেন উল্লেখ করেন ফ্রিডরিখ মের্জ।
মের্জ ইউক্রেন শান্তি পরিকল্পনার গোপন উদ্যোগ তুলে ধরেন : মের্জ আবারও ইউক্রেনের জন্য মার্কিন শান্তি পরিকল্পনার কিছু অংশের প্রতি তার আপত্তি প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, এই মুহূর্তে পারস্পরিক মতবিরোধের পরও রাজনৈতিক সমাধান হবে। তবে আমাদের অপেক্ষা করতে হবে এবং দেখতে হবে। তিনি আরও বলেন, আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে নতুন একটি উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে, তাতে সবাই একমত হতে পারে। তবে উদ্যোগের বিষয়ে তিনি নিশ্চিত করে কিছু বলেননি। মের্জের মতে, এটি এমন একটি বিষয় হতে পারে, যেখানে আমেরিকান এবং রাশিয়ানদের সঙ্গে চুক্তিতে পৌঁছানো যেতে পারে।
এদিকে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো ও তার ঘনিষ্ঠ সরকারি মিত্রদের আনুষ্ঠানিকভাবে ‘বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠনের সদস্য’ হিসেবে চিহ্নিত করল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। এর ফলে গতকাল থেকে ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে যে কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষেত্রে আরও বিস্তৃত ক্ষমতা পেতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
‘কার্টেল দে লস সোলোস’ নামের যে গোষ্ঠীকে বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে, বিশেষজ্ঞদের মতে এটি কোনো প্রচলিত সংগঠিত সন্ত্রাসী গোষ্ঠী নয়, বরং ভেনেজুয়েলার সরকারি ও সামরিক খাতের দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তাদের অনানুষ্ঠানিক নেটওয়ার্ককে বোঝাতে ব্যবহৃত একটি টার্ম। -এএফপি