বেগম খালেদা জিয়া আজ শুধু একটি নাম নয়; একটি প্রতিষ্ঠান। একটি ইতিহাস। জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষার একমাত্র নির্ভরযোগ্য ভরসার স্থল। জাতীয়তাবাদী শক্তির ঠিকানা। দেশে এখন কোনো সরকারি বা বিরোধী দল নেই। এখন তিনি দলমতনির্বিশেষে সবার নেতা। সবার গভীর শ্রদ্ধার পাত্র। জাতীয় মুরুব্বি, জাতির অভিভাবক। তাঁর অসুস্থতায় দেশে এখন জাতীয় ঐক্য তৈরি হয়েছে। তিনি তাঁর রাজনৈতিক জীবনে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, মানুষের অধিকার, দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা, মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শ বাস্তবায়নে সংগ্রাম করে গেছেন। কোনো অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেননি। মনপ্রাণ দিয়ে ভালোবেসেছেন দেশ ও দেশের মানুষকে। অসুস্থাবস্থায় তিনি যেভাবে আপামর জনগণের দোয়া পাচ্ছেন, সারা দেশের মানুষ যেভাবে তাঁর সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করছে, তা সত্যি বিরল। এমন দোয়া পাওয়া পরম সৌভাগ্যের। একজন পুণ্যবান মানুষের পক্ষেই এমন ভালোবাসা পাওয়া সম্ভব।
২১ নভেম্বর বেগম খালেদা জিয়া সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের সংবর্ধনায় অংশ নিয়েছিলেন। সেদিন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক ও সামরিক-বেসামরিক বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ বেগম জিয়ার প্রতি অকুণ্ঠ শ্রদ্ধা প্রদর্শন করেন। এর দুই দিন পর ২৩ নভেম্বর তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন হলে সারা দেশের মানুষের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা সৃষ্টি হয়। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাঁর সুস্থতা কামনা করে দোয়া চেয়েছেন। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বেগম খালেদা জিয়াকে দেখতে গতকাল এভারকেয়ারে গিয়েছেন। এর আগে তিনি ব্যক্তিগতভাবে দেশবাসীর কাছে বেগম জিয়ার জন্য দোয়া কামনা করেছেন। উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকেও বেগম জিয়ার সুস্থতা কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের মধ্যে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমসহ সরকারের অনেকে বেগম জিয়াকে দেখতে হাসপাতালে ছুটে গেছেন এবং তাঁর রোগমুক্তি কামনা করেছেন। খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ চিঠি পাঠিয়েছেন। চিঠিতে তিনি লেখেন-‘আপনার সাম্প্রতিক অসুস্থতার খবর জেনে আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। পাকিস্তানের জনগণ, সরকার, পাশাপাশি আমার ব্যক্তিগত পক্ষ থেকেও আপনার দ্রুত ও সম্পূর্ণ সুস্থতার জন্য আন্তরিক প্রার্থনা ও শুভকামনা জানাচ্ছি।’ তিনি আরও লেখেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়নে আপনার অসামান্য অবদান সর্বজনস্বীকৃত। বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে দৃঢ় ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক জোরদারে আপনার ভূমিকাও আমরা গভীরভাবে মূল্যায়ন করি।’ বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি তাঁর ভেরিফায়েড এক্সে পোস্টে বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যগত অবস্থা জেনে আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। বহু বছর ধরে তিনি বাংলাদেশের জনজীবনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তাঁর দ্রুত আরোগ্যের জন্য আন্তরিক প্রার্থনা ও শুভকামনা রইল। ভারত যে কোনোভাবে, যেভাবে প্রয়োজন সহায়তা করতে প্রস্তুত।’
জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান খালেদা জিয়াকে দেখতে হাসপাতালে যান। তিনি তাঁর সুস্থতার জন্য দোয়া করেন। জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহেরও বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করেন। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া একজন দেশপ্রেমিক, গণতান্ত্রিক ও আপসহীন নেত্রী। তিনি কোনো দলের নেত্রী নন, তিনি দেশের সব মানুষের নেত্রী। আজ বাংলাদেশের রাজনীতির সংকটে বেগম জিয়াকে অনেক বেশি প্রয়োজন।’ ডা. তাহেরের এমন উদার মানবিক বক্তব্য দেশবাসীর কাছে সমাদৃত হয়েছে। কারণ তিনি দেশবাসীর মনের কথাটাই বলেছেন। খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দেশবাসীকে দোয়ার আহ্বান জানিয়েছেন হেফাজত আমির মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘আমরা দোয়া করছি আল্লাহ রব্বুল আলামিন তাঁকে দ্রুত সুস্থ করে জাতির এই দুর্দিনে আবারও দেশের হাল ধরার তৌফিক দান করুন, আমিন। ২০১৩ সালে শাহবাগে ইসলামবিদ্বেষী নাস্তিকদের বিরুদ্ধে সরাসরি অবস্থান নিয়ে ইসলাম, দেশ ও জাতির স্বার্থের পক্ষে দাঁড়িয়েছিলেন খালেদা জিয়া। ভারতপন্থি সেকুলার প্রগতিশীলদের চক্রান্ত উপেক্ষা করে হেফাজতের আন্দোলনে সমর্থন দিয়েছিলেন। হেফাজতের পাশে থাকতে তাঁর দলের নেতা-কর্মীদেরও নির্দেশ দিয়েছিলেন। তিনি একজন দেশপ্রেমিক ও সাহসী ইমানদার নারী। তাঁর কাছ থেকে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের শিক্ষা নেওয়া সময়ের অপরিহার্য দাবি।’ বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দলমতনির্বিশেষে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের দোয়া ও ভালোবাসা পাওয়া পরম সৌভাগ্যের বিষয় বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামি আলোচক মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী।
এ ছাড়া নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারা, মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহসহ এনসিপির অন্য নেতারা বেগম জিয়ার খোঁজখবর নিতে হাসপাতালে ছুটে গেছেন। তাঁরা সবাই জাতির অভিভাবকের সুস্থতা কামনা করেন। এদিকে হাসপাতালের গেটের সামনে শত শত মানুষ ২৪ ঘণ্টা অপেক্ষা করছে প্রিয় নেত্রীর শারীরিক অবস্থার সর্বশেষ খবর শোনার জন্য। একজন সিনিয়র সিটিজেন গ্রাম থেকে ছুটে এসেছেন এভারকেয়ার হাসপাতালে। শারীরিকভাবে তিনিও বেশ অসুস্থ। তার পরও এসেছেন প্রিয় নেত্রীকে একনজর দেখার আশায়। দেখতে না পেয়ে তিনি হাসপাতালের গেটের বাইরে বসে কোরআন শরিফ পড়ছেন। কেউ কেউ শুধু চোখ মুছছেন। এভারকেয়ারের গেটে গেলে দেখা যায় একজন মানুষ, একজন রাজনৈতিক নেতা দেশবাসীর কাছে কতটা প্রিয়। দেশের মানুষ তাঁকে কতটা ভালোবাসে। দেশের ইতিহাসে এমন সর্বজনীন ভালোবাসা, শ্রদ্ধা পাওয়ার সৌভাগ্য বেগম খালেদা জিয়া ছাড়া আর কোনো রাজনৈতিক নেতা অর্জন করেননি।
১৯৮১ সালের ৩০ মে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে যখন হত্যা করা হয় তখন খালেদা জিয়া ছিলেন নিতান্তই একজন গৃহবধূ। দুই শিশু সন্তানকে নিয়ে তখন ঢাকা সেনানিবাসে অবস্থান করছিলেন। রাজনীতি সম্পর্কে তিনি কিছুই জানতেন না। শোকে স্তব্ধ একজন বিধবা, পিতৃহারা দুই পুত্রের মা। প্রেসিডেন্ট জিয়ার গড়া রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি তখন বিপর্যস্ত। দল টিকে থাকবে কি না, কে দলের হাল ধরবেন-এমন প্রশ্নে সিনিয়র নেতারা দ্বিধাবিভক্ত। ৭৮ বছর বয়সের ভাইস প্রেসিডেন্ট বিচারপতি আবদুস সাত্তার অস্থায়ী প্রেসিডেন্টের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। তারপর অনেক ইতিহাস। অবশেষে দলের নেতা-কর্মীদের ভালোবাসায়, আগ্রহে বেগম খালেদা জিয়া গৃহবধূর ঘেরাটোপ ভেঙে ১৯৮২ সালের ৩ জানুয়ারি একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে বিএনপির সদস্যপদ গ্রহণ করেন। একই বছর ৭ নভেম্বর শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে সর্বপ্রথম নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন। সেই শুরু তাঁর রাজনৈতিক পথ চলা। দীর্ঘ ৪৩ বছর তিনি আপসহীন ভাবমর্যাদা রক্ষা করে রাজনীতির জটিল ও পিচ্ছিল পথে দৃঢ়-দৃপ্ত কদমে পথ চলেছেন। এ দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের হিসাবের খাতায় তিনি শুধু দেশ ও দেশের মানুষকে দিয়েই গেছেন। জীবনখাতার হিসাবের শেষ পৃষ্ঠায় দেশের মানুষের অকুণ্ঠ, অকৃত্রিম ভালোবাসাই তাঁর প্রাপ্য ও শ্রেষ্ঠ অর্জন।
মা যখন মৃত্যুশয্যায় তখন তাঁর প্রিয় সন্তান, বিএনপির অগণিত নেতা-কর্মীর প্রিয় নেতা তারেক রহমান দেশে ফিরতে পারছেন না। কেন ফিরছেন না, সমস্যা কোথায় ইত্যাদি প্রশ্ন যখন ডালপালা গজাতে শুরু করে, তখন তিনি বাধ্য হয়েছেন নিজের অবস্থান পরিষ্কার করতে। ২৯ নভেম্বর তিনি তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লেখেন-‘এমন সংকটকালে মায়ের স্নেহস্পর্শ পাওয়ার তীব্র আকাঙ্ক্ষা যে কোনো সন্তানের মতো আমারও রয়েছে। কিন্তু অন্য আর সবার মতো এটা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আমার একক সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুযোগ অবারিত ও একক নিয়ন্ত্রণাধীন নয়। স্পর্শকাতর বিষয়টি বিস্তারিত বর্ণনার অবকাশও সীমিত। রাজনৈতিক বাস্তবতার এই পরিস্থিতি প্রত্যাশিত পর্যায়ে উপনীত হওয়ামাত্রই স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে আমার সুদীর্ঘ উদ্বিগ্ন প্রতীক্ষার অবসান ঘটবে বলেই আমাদের পরিবার আশাবাদী।’ তারেক রহমান কেন দেশে ফিরছেন না-এমন প্রশ্ন এত দিন যারা করেছেন, তারা অনেকেই এখন বাস্তবতা বুঝতে পেরেছেন। সেই সঙ্গে জনমনে নতুন বেশ কয়েকটি প্রশ্নের উদ্ভব হয়েছে। প্রথম প্রশ্ন হলো-তবে কি সরকার তাঁর দেশে ফেরার পথে বাধা? সরকার কি তারেক রহমানকে মাইনাস করে অন্য কোনো পক্ষকে ক্ষমতায় বসাতে চায়? অথবা দীর্ঘ মেয়াদে ক্ষমতায় থাকার জন্য তারেক রহমানকে দেশে ফিরতে দিচ্ছে না? এসব প্রশ্নের উত্তর সরকার অত্যন্ত স্পষ্ট এবং দৃঢ়তার সঙ্গে দিয়েছে। শুধু উত্তরই দেয়নি, তারেক রহমানের নিরাপত্তায় সরকার সব রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলেও ঘোষণা দিয়েছে। দ্বিতীয় প্রশ্নটি দেশবাসীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে ঘুরপাক খাচ্ছিল। স্পর্শকাতর বলে কেউ মুখ খুলে বলছে না। সেই প্রশ্নটি হলো-ওয়ান-ইলেভেনের সময় যেসব সেনা কর্মকর্তা তারেক রহমানের গায়ে হাত দেওয়ার স্পর্ধা দেখিয়েছেন, ৪০ মিনিট বিমান আটকে রেখে যারা একটি কাগজে স্বাক্ষর নিয়েছিলেন, তারা বা তাদের সতীর্থরাই কি এখন তাঁর দেশে ফেরার পথে বাধা? এ প্রশ্নের সরাসরি কোনো উত্তর এখনো পাওয়া না গেলেও সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান এবং বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন ২১ নভেম্বর সেনাকুঞ্জে বেগম খালেদা জিয়াকে যে সম্মান প্রদর্শন করেছেন, তাতে অনেক কিছুই বোঝা যায়। শুধু তাই নয়, অসুস্থ বেগম জিয়াকে দেখার জন্য তিন বাহিনী প্রধানই ২ ডিসেম্বর এভারকেয়ার হাসপাতালে গেছেন। এর মধ্য দিয়ে অনেক না-বলা কথাই বলা হয়েছে। তার পরও দেশবাসীকে দ্বিধামুক্ত করতে নিশ্চয়ই আমাদের সশস্ত্র বাহিনী যথোপযুক্ত উদ্যোগ গ্রহণ করবে। তৃতীয় প্রশ্নটি হলো-তবে কি বহির্বিশ্বের কোনো শক্তি তারেক রহমানের দেশে ফেরার পথে বাধা? এ প্রশ্নের উত্তর কারও জানা নেই। শুধু জানেন তারেক রহমান।
তবে দেশবাসীর প্রত্যাশা, নিশ্চয়ই তারেক রহমান সময়মতো দেশে ফিরে আসবেন। অসুস্থ মাকে বুকে জড়িয়ে ধরবেন। ভালোবাসার পরশে কপালে-কপোলে হাত বুলিয়ে দেবেন। মায়ের দোয়া নিয়ে শক্ত হাতে দলের নেতৃত্ব দেবেন। আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন এবং দেশকে গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথে এগিয়ে নেবেন। কারণ তাঁর পিতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বিশ্বাস করতেন, ‘ব্যক্তির চেয়ে দল বড়, দলের চেয়ে দেশ বড়’। আর তাঁর সুযোগ্য উত্তরাধিকার, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিশ্বাস হলো-‘সবার আগে বাংলাদেশ’। আগামী নির্বাচনে দেশবাসীর ভালোবাসায় তারেক রহমানের সেই বিশ্বাস নিশ্চয়ই আরও সুদৃঢ় হবে।
লেখক : নির্বাহী সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন
manju209@yahoo.com