জাতিসংঘে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও আইনের শাসন নিশ্চিত করতে নাগরিকবান্ধব সংস্কার চালাচ্ছে তাঁর সরকার। শুক্রবার সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতির কথাও বলেন। চব্বিশের গণ অভ্যুত্থান-পরবর্তী প্রেক্ষাপটে নেওয়া পদক্ষেপ, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সমস্যা, যুদ্ধ-সংঘাতসহ বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন। বিশ্বব্যাপী তরুণদের জন্য কীভাবে নিরাপদ বিশ্ব গড়ে তোলা যায়, সে আকাক্সক্ষা ও পথনির্দেশও করেন শান্তিতে নোবেলজয়ী এই বরেণ্য ব্যক্তিত্ব। বলেন, বৈষম্যমুক্ত, ন্যায়বিচারভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণের জন্য আকাক্সক্ষা পূরণে আমরা বেছে নিই অন্তর্ভুক্তিমূলক টেকসই পথ। লক্ষ্য- ক্ষমতার ভারসাম্যপূর্ণ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রকাঠামো গড়ে তোলা। যেখানে কখনো স্বৈরাচার সৃষ্টির সুযোগ থাকবে না। কোনো নির্বাচিত নেতাও রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক স্বরূপ ক্ষুণ্ন করতে পারবেন না। রাষ্ট্র ও জনগণের রক্ষকরা ভক্ষক হয়ে উঠতে পারবে না। গণ অভ্যুত্থানের বছরপূর্তিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে এক মঞ্চে দাঁড়িয়ে ‘জুলাই ঘোষণা’র মাধ্যমে সংস্কার কার্যক্রমের প্রতি যে অঙ্গীকার করা হয়েছে, তার ভিত্তিতে আগামী নির্বাচনে যে দলই ক্ষমতায় বসুক, সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়নে অনিশ্চয়তার সুযোগ থাকবে না। জাতিসংঘে ড. ইউনূস মূলত বছরজুড়ে তাঁর সরকারের অঙ্গীকার, প্রচেষ্টা, পদক্ষেপ এবং সেসব ক্ষেত্রে অগ্রগতি ও স্বপ্ন-সম্ভাবনার দিকগুলো বিশ্বসমাজকে অবহিত করেন। এসব প্রশ্নে সরকারের দৃঢ় অবস্থানও পুনর্ব্যক্ত হয়। বলা হয় যে সরকারের উন্নয়নকৌশলের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে সুশাসন, সামাজিক অন্তর্ভুক্তি ও টেকসই উন্নয়ন। রয়েছে পাচার হওয়া সম্পদ ফিরিয়ে আনার প্রতি অগ্রাধিকার। অত্যন্ত বলিষ্ঠ কণ্ঠে গাজা পরিস্থিতি নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান স্পষ্ট করেন প্রধান উপদেষ্টা। বলেন, শিশুরা না খেয়ে মরছে। বেসামরিক জনগোষ্ঠীকে নির্বিচারে হত্যা এবং স্কুল-হাসপাতাল নিশ্চিহ্ন করা হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে বিশ্ববাসীর ভূমিকা জোরালো নয়। এজন্য পরবর্তী প্রজন্মের কাছে জবাবদিহি করতে হবে। তিনি সমস্যার স্থায়ী সমাধানের পথও দেখান। বিশ্বনেতারা মুহুর্মুহু করতালিতে তাঁকে সমর্থন ও সম্মান জানান। বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া লাখ লাখ বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গার ভারে সৃষ্ট সমস্যার দিকগুলো তুলে ধরে তিনি তাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে মিয়ানমারের ওপর যৌক্তিক চাপ প্রয়োগের আহ্বান জানান। সরকারপ্রধান পরিচয় ছাড়াও ব্যক্তিগত ক্যারিশমা, বিশেষ মর্যাদা ও গ্রহণযোগ্যতার দৃঢ়তায় ড. ইউনূস জাতিসংঘে দেশকে যে ঔজ্জ্বল্যে উপস্থাপন করেছেন, তা জাতিকে কয়েক ধাপ এগিয়ে দিয়েছে। এ ধারা অব্যাহত থাক। বিশ্বমঞ্চে এভাবেই উচ্চকণ্ঠে কথা বলুক, মাথা তুলে দাঁড়াক বাংলাদেশ।
শিরোনাম
- গণভোটের বিষয়ে ইসির প্রজ্ঞাপন
- ৩০০ আসনে রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ দিয়ে ইসির প্রজ্ঞাপন
- মগবাজার, মৌচাক ও মোহাম্মদপুরে ককটেল বিস্ফোরণ
- মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা আজ, কেন্দ্রের গেট বন্ধ হবে সাড়ে ৯টায়
- খালেদা জিয়ার চিকিৎসার সর্বশেষ অবস্থা জানাল মেডিকেল বোর্ড
- আমরা এখনো সিরিয়াস না হলে দেশের অস্তিত্ব হুমকির সম্মুখীন হবে: তারেক রহমান
- যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গীদের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক পেছাল
- মাদকের টাকার জন্য নিজের ঘরে আগুন দিল যুবক
- তানজানিয়ায় নির্বাচনী সহিংসতা, দুই হাজারের বেশি নিহত
- লালবাগে ছুরিকাঘাতে যুবক খুন
- এশিয়া কাপের হ্যাটট্রিক শিরোপা জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী হাকিম
- মাদারীপুরে আন্তঃকলেজ ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন
- জবিতে তিন দফা দাবিতে ভিসি ভবন ঘেরাওয়ের হুশিয়ারি
- তফসিল ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে খেলাফত মজলিস
- সিরিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ অনিবার্য: ইসরায়েলি মন্ত্রী
- ভেনেজুয়েলার ন্যাশনাল গার্ড মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে: জাতিসংঘ
- জাতি একটি ভালো নির্বাচনের অপেক্ষায় আছে: দুলু
- রেকর্ড ৯০১ বিলিয়ন ডলারের প্রতিরক্ষা ব্যয় বিল পাস যুক্তরাষ্ট্রের
- মাইজভাণ্ডারী যুব ফোরামের উদ্যোগে ‘ক্যারিয়ার গাইডেন্স’ সেমিনার
- লালমনিরহাটে জন্মান্ধ হাফেজার পাশে বিএনপি নেতা দুলু