চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের বিভিন্ন ফার্মেসির সামনে ঝুলছে তালা। বন্ধ ল্যাব। ফলে হাসপাতালের ফার্মেসি ও ল্যাবের সামনে দূর-দূরান্ত থেকে আসা রোগীরা অসহায়ের মতো বসে আছে। শত শত রোগী-স্বজনরা অপেক্ষায় আছেন কখন তালা খুলবে।
বুধবার সকাল ৮টা থেকে ১২টা পর্যন্ত চমেক হাসপাতালের টেকনোলজিস্ট-ফার্মাসিস্টরা নিজেদের গ্রেড পরিবর্তনের দাবিতে কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করেন।
সরেজমিন দেখা যায়, গতকাল সকাল ১০টার দিকে হাসপাতালে অসংখ্য রোগী ও স্বজনের দীর্ঘ সারি। সবাই এসেছেন দূর-গ্রাম থেকে। কেউ সীতাকুন্ড, কেউ ফেনী, কেউ সাতকানিয়া, রাউজান, পটিয়া ও রাঙ্গুনিয়া থেকে। সংকটাপন্ন রোগীর সঙ্গে আছেন বৃদ্ধা, নারী-পুরুষ ও শিশুরা। এর মধ্যে অধিকাংশই জানে না কর্মবিরতির খবর।
ভুক্তভোগীরা বলেন, আমরা গ্রাম থেকে অনেক কষ্ট করে আসছি। কিন্তু এখানে দেখি ল্যাব বন্ধ। দাবি নিয়ে আন্দোলন করুক ঠিক আছে, কিন্তু রোগী জিম্মি করে কেন।
চমেক হাসপাতালের টেকনোলজিস্ট আলী আজম বলেন, আমরা ১১তম গ্রেড থেকে দশম গ্রেডে উন্নীত করার দাবিতে কর্মসূচি পালন করেছি। দশম গ্রেড হলে আমরা পিএসসি’র আওতায় আসব। তখন প্রতি বছরে নিয়োগ পরীক্ষা হবে। এখন তো কালেভদ্রে নিয়োগ বা মন্ত্রণালয়ের খেয়াল-খুশি মতো পরীক্ষা হয়। কিন্তু নতুন করে গ্রেড দিলে পরীক্ষা হবে, নিয়মিত নিয়োগ হবে, সরকারি হাসপাতালে জনবল সংকটও কমবে। বাড়বে সরকারি ল্যাবের সক্ষমতা ও সেবার পরিধি।
তিনি বলেন, ১২টার পর থেকে আমরা সবাই যথা নিয়মে রোগীদের কাজ শুরু করেছি। সকালের দিকে একটু কষ্ট হলেও পরে তা আমরা ম্যানেজ করে দিয়েছি।
বিডি প্রতিদিন/এমআই