তুরস্কের ফুটবলে বড় ধরনের জুয়া কেলেঙ্কারির রেশ কাটতে না কাটতেই এবার আলোচনায় ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ। ব্রাইটন অ্যান্ড হোভ অ্যালবিয়ন ক্লাবের মালিক টনি ব্লুমের বিরুদ্ধে উঠেছে ৬০ কোটি পাউন্ড—বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার জুয়া সিন্ডিকেটে জড়িত থাকার অভিযোগ।
উচ্চ আদালতে দাখিল করা নথিতে বলা হয়েছে, রাজনৈতিক দল ‘রিফর্ম ইউকে’র সাবেক চিফ অব স্টাফ জর্জ কট্রেলের নামে বাজির হিসাব ব্যবহার করা হতো। রিফর্ম ইউকে নেতা নাইজেল ফারাজের ঘনিষ্ঠ এই সহযোগী নাকি পরিচালনা করতেন একটি বড় জুয়া সিন্ডিকেট, যার সঙ্গে ব্লুমের সম্পর্ক থাকার অভিযোগ উঠেছে। কট্রেলকে এই সিন্ডিকেটের জন্য ‘ফ্রন্ট’ বা ঢাল হিসেবেও ব্যবহার করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।
১৯ পাতার এই নথি প্রকাশ হয়েছে ব্লুম ও তাঁর সাবেক সহযোগী রায়ান ডাডফিল্ডের বিরোধের অংশ হিসেবে। ডাডফিল্ড দাবি করছেন, বাজি থেকে প্রাপ্ত লাভ হিসেবে তাঁর পাওনা প্রায় ১৯ কোটি পাউন্ড। আর এই পাওনাকে কেন্দ্র করেই বিরোধ গড়িয়েছে আদালতে।
অভিযোগে বলা হয়েছে, স্টারলিজার্ড বেটিং সিন্ডিকেট নামে পরিচিত এই সংস্থার বার্ষিক আয় প্রায় ৬০ কোটি পাউন্ড। বাজি খেলানো হতো বিভিন্ন ফুটবলার, খেলোয়াড় ও ব্যবসায়ীদের ব্যাংক হিসাব ব্যবহার করে।
নথি অনুযায়ী, বাজিতে খুব একটা দক্ষ ছিলেন না কট্রেল। বরং নিয়মিতই বড় অঙ্কের টাকা হারাতেন তিনি। নথিতে আরও উল্লেখ আছে—কট্রেল তার বাজি হিসাবগুলো ব্লুম ও সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণে ছেড়ে দিয়েছিলেন, যাতে বাজির অর্থ সরাসরি তাকে পাঠাতে না হয়।
কে টনি ব্লুম?
ব্রাইটনের মালিক টনি ব্লুম বিশ্বের সবচেয়ে সফল জুয়া খেলোয়াড়দের একজন হিসেবে পরিচিত। তাঁর আয়ের বড় অংশ আসে জুয়া-সংক্রান্ত ব্যবসা থেকে। ২০০৯ সালে ব্রাইটনের চেয়ারম্যান হওয়া ব্লুম দ্রুতই ক্লাবের ৭৫ শতাংশ শেয়ার কিনে নেন। এমেক্স স্টেডিয়ামের উন্নয়নেও বড় অঙ্কের অর্থ বিনিয়োগ করেন তিনি।
অভিযোগগুলো নিয়ে ব্রাইটন বা টনি ব্লুমের পক্ষ থেকে এখনো কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
বিডি-প্রতিদিন/সুজন