সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে এক গ্রামে ইসরায়েলি হামলায় ১৩ জন নিহত হওয়ার খবর দিয়েছে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম। দামেস্ক এ অভিযানকে ‘অপরাধমূলক হামলা’ আখ্যা দিয়েছে। তবে ইসরায়েল বলেছে, সন্ত্রাসী ধরতে এক অভিযান চলাকালে তাদের সেনারাই গুলির মুখে পড়েছিল।
বছরখানেক আগে বাশার আল আসাদ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর সিরিয়ায় ইসরায়েলের অভিযান ও তাতে প্রাণহানির সংখ্যা যে বাড়ছে, বেইত জিনে নিহতের সংখ্যা তারই ইঙ্গিত দিচ্ছে, বলছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। আসাদ ক্ষমতায় থাকাকালে ইসরায়েল নিয়মিত দেশটিতে বোমা হামলা চালালেও তাকে উৎখাতের পর প্রতিবেশী দেশটিতে সামরিক অভিযানের ধার বাড়িয়েছে। তেল আবিব বলেছে, তারা জঙ্গিদের তাদের সীমান্ত থেকে দূরে রাখতেই এসব অভিযান চালাচ্ছে। ইসরায়েলের সেনাবাহিনী বলেছে, জামায়া ইসলামিয়ার সন্দেহভাজন সদস্যদের ধরতেই তাদের সেনারা সিরিয়ায় অভিযানে গিয়েছিল। লেবাননের এই সুন্নি গোষ্ঠীটি গাজা যুদ্ধের সময় ইসরায়েলকে নিশানা বানিয়ে একাধিকবার রকেট ছুড়েছে। গোষ্ঠীটি ‘সন্ত্রাসী হামলার ছক কষছে’ বলে অভিযোগ ইসরায়েলের। -রয়টার্স
তাৎক্ষণিকভাবে রয়টার্স জামায়া ইসলামিয়ার কর্মকর্তাদের মন্তব্য পায়নি। সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী বেইত জিনে গোলা ছুড়ে এবং এরপর ইসরায়েলি সেনারা গ্রামটিতে ঢুকে পড়ে। বাসিন্দারা প্রতিরোধ গড়ে তুললে বাধে ‘সহিংস সংঘাত’, বলেছে তারা। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলছে, ‘সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা’ তাদের সেনাদের ওপর গুলি চালিয়েছিল, এর প্রতিক্রিয়ায় তারাও গুলি চালায়, সঙ্গে ‘আকাশপথে সাহায্যও ছিল’। ‘বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসীকে নির্মূল করা হয়েছে,’ বলেছে তারা। ইসরায়েলি হামলায় নারী ও শিশুও নিহত হয়েছে, স্থাপনার ক্ষতি হয়েছে এবং লোকজনকে বাধ্য হয়ে বাড়ি থেকে পালাতে হয়েছে বলে জানিয়েছে সিরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ইসরায়েল ‘পুরোদস্তুর যুদ্ধাপরাধ’ করেছে আখ্যা দিয়ে এ ধরনের হামলা অঞ্চলের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতাকে হুমকিতে ফেলবে বলে সতর্কও করেছে তারা।