ইউক্রেনে শুক্রবার রাতভর ব্যাপক হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এতে ৩৩ জন হতাহত হয়েছেন। এর মধ্যে অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৩০ জন। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, বিদ্যুৎ গ্রিডে হামলার ফলে ইউক্রেনের প্রায় ছয় লাখের বেশি পরিবার বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছে। প্রায় চার বছর ধরে চলা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগে শান্তি আলোচনার মাঝেই এ হামলার ঘটনা ঘটল। হামলার পর ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রি সিবিহা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্টে লিখেছেন, ‘যখন সবাই শান্তি পরিকল্পনার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করছে, রাশিয়া তখনো হত্যা এবং ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে।’ দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির দাবি, এই হামলায় রাশিয়া প্রায় ৩৬টি ক্ষেপণাস্ত্র এবং ৬০০টি ড্রোন ব্যবহার করেছে। ২০২২ সাল থেকে মস্কো নিয়মিতভাবেই ইউক্রেনের বিদ্যুৎ অবকাঠামোর ওপর ব্যাপক আক্রমণ চালিয়ে আসছে। সবশেষ এই হামলায় ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। রাশিয়ার ব্যাপক হামলায় শহরটির বিদ্যুৎ কাঠামো অনেকটাই ভেঙে পড়েছে। যার ফলে শহরের অনেক পরিবার এখন দিনে মাত্র আট ঘণ্টা বিদ্যুৎ পাচ্ছে। -রয়টার্স
এদিকে রুশ এই মুখপাত্র বলেন, ‘ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী ২৪ ঘণ্টায় ২৩০ জনেরও বেশি সৈন্য হারিয়েছে। এ সময়ে রুশ যৌথ বাহিনীর ইউনিট এবং আক্রমণকারী ড্রোন ইউনিটগুলো ইউক্রেনের পাঁচটি সাঁজোয়া যুদ্ধযান (যার তিনটি পশ্চিমা নির্মিত), ১৯টি অটোমোবাইল, চারটি ফিল্ড আর্টিলারি গান, একটি ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার স্টেশন এবং চারটি গোলাবারুদ ও জ্বালানির গুদামও ধ্বংস করেছে।’ অন্যদিকে সেভেরস্ক দিকের ড্রোন ইউনিটগুলো ইউক্রেনের দুটি ইউএভি নিয়ন্ত্রণকেন্দ্র, একটি স্টারলিংক টার্মিনাল এবং ছয়টি যোগাযোগ অ্যান্টেনা লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে বলেও উল্লেখ করেন ভাদিম আস্তাফিয়েভ। তিনি আরও জানান, ক্রামাতোরস্ক দিকের ড্রোন ইউনিটগুলো ইউক্রেনীয় বাহিনীর একটি স্থলভিত্তিক রোবোটিক কমপ্লেক্স ধ্বংস করে, একটি আর-১৮ অক্টোকপ্টার ভূপাতিত করে, একটি ইউএভি নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র, একটি স্টারলিংক টার্মিনাল, তিনটি এফপিভি ড্রোন অ্যান্টেনা ও তিনটি যোগাযোগ অ্যান্টেনায় আঘাত হানে। এ ছাড়া, কনস্তানতিনোভকার দক্ষিণাঞ্চলের ড্রোন ইউনিটগুলো শত্রুপক্ষের তিনটি স্থল রোবোটিক সিস্টেম, একটি অস্থায়ী ঘাঁটি এবং ইউক্রেনীয় বাহিনীর ছয়টি ডাগআউট ধ্বংস করেছে বলেও জানান আস্তাফিয়েভ।
-রয়টার্স