চলতি বছর শেষে বা আগামী বছরের শুরুতে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন পরীক্ষামূলক কম্পিউটিং স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের প্রস্তুতি নিচ্ছে চীন। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) কাজে এটি হবে নতুন সমাধান। বৃহস্পতিবার বিষয়টি জানিয়েছেন বেইজিং অ্যাস্ট্রো-ফিউচার ইনস্টিটিউট অব স্পেস টেকনোলজির গবেষকরা।
সংস্থাটির পরিচালক চাং শানছোং জানান, বড় ডেটা সেন্টারের বিস্তৃতি দ্রুত বাড়ছে। তবে স্থানের সংকট, জ্বালানি খরচ বৃদ্ধি ও কুলিংয়ের সীমাবদ্ধতা বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০৩০ সালের মধ্যে ডেটা সেন্টারের বিদ্যুৎ চাহিদা দ্বিগুণ বেড়ে ঘণ্টায় প্রায় ৯৪৫ টেরাওয়াটে পৌঁছাতে পারে। মহাকাশে থাকা সূর্যের অপরিমেয় জ্বালানি ও মাইনাস ২৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের স্থিতিশীল পরিবেশকে কাজে লাগানো সম্ভব।
প্রকল্পটি এখন প্রাথমিক গবেষণা পর্যায়ে রয়েছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, পৃথিবীর ৭০০-৮০০ কিলোমিটার উচ্চতায় ১৬টি স্পেস ডেটা সেন্টারের একটি বহর তৈরি করা হবে। কক্ষপথে প্রায় সব সময়ই সূর্য থাকায় বহরটি আনুমানিক ১৬ গিগাওয়াট শক্তি সরবরাহ করতে পারবে।
চাং বলেন, প্রকল্পটি তিন ধাপে সম্পন্ন হবে। প্রথম ধাপে কক্ষপথে কম্পিউটিং শক্তি ও কুলিং প্রযুক্তির পরীক্ষা হবে। দ্বিতীয় ধাপে (২০২৮-৩০) খরচ কমিয়ে পৃথিবীর ডেটা সেন্টারের সমপর্যায়ে আনা হবে এবং তৃতীয় ধাপে (২০৩১-৩৫) সৌর শক্তিচালিত আরও বড় স্থাপনা গড়া হবে।