ভাগ্যিস আমি পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলায় জন্মগ্রহণ করেছি। তা না হলে আমাকেও বাংলাদেশি বলে দিত।’ যদিও পরক্ষণেই মমতা এও জানান, ‘আমি অবশ্য বাংলাদেশকে খুবই ভালবাসি। কারণ আমাদের ভাষা এক, দুই দেশের মধ্যে ভৌগোলিক সীমানা আছে, ঐতিহাসিক সীমানা আছে।’
ভারতের কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে নিশানা করে এই মন্তব্য করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। গতকাল উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বনগাঁর ত্রিকোণ পার্কে একটি সভা থেকে এ সব কথা বলেছেন মমতা ব্যানার্জি। বাংলাভাষী মানুষের ওপর বিজেপির বিরুদ্ধে বিদ্বেষের অভিযোগ, কিংবা বাংলা ভাষায় কথা বললে পরিযায়ী শ্রমিকদের ওপর অত্যাচার, নিপীড়ন, ডিটেনশন ক্যাম্পে আটক করে রাখা কিংবা বাংলাদেশি আখ্যা দিয়ে তাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর পরিপ্রেক্ষিতে এমন মন্তব্য মমতার। এরা (বিজেপি) মানুষকে ভয় দেখাবে, অত্যাচার করবে, মানুষকে শঙ্কিত করবে।
আর বাংলা ভাষায় কথা বললেই আপনি বাংলাদেশি! ইতিহাসটাকে তো ভালো করে জানতে হবে। ভারত যখন স্বাধীন হলো তখন কেউ বাংলাদেশে থেকে পাকিস্তানে চলে গেল, কেউ ভারতে চলে এলো। যারা ছোটবেলায় বাংলাদেশি ভাষায় কথা বলে অভ্যস্ত আজকে হঠাৎ করে তারা কীভাবে ভাষা পরিবর্তন করবে? আমাদের লেখার ভাষা সবারই এক। বলার ক্ষেত্রে হয়তো উচ্চারণ একটু আলাদা হতে পারে। আমাদের রাজ্যে বীরভূম, বনগাঁ, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, অশোকনগর সব জায়গায় ভাষার আলাদা একটা টান রয়েছে। ভাগ্যিস আমি বীরভূমে জন্মগ্রহণ করেছি। তা না হলে আমাকেও বাংলাদেশি বলে দিত।’ যদিও পরক্ষণেই মমতা এও জানান, ‘আমি অবশ্য বাংলাদেশকে খুবই ভালবাসি। কারণ আমাদের ভাষা এক, দুই দেশের মধ্যে ভৌগোলিক সীমানা আছে, ঐতিহাসিক সীমানা আছে।’ বিজেপিকে কটাক্ষ করে মমতা বলেন, ‘আমি বাংলা মাধ্যমে পড়েছি বলে আমি গর্বিত। আপনি কোথায় পড়াশোনা করেছেন সেটা বড় নয়, আপনি মানুষ হতে পেরেছেন কি না, সেটা আপনার পরিচয়! বাংলা মাধ্যমে পড়েই আমি ক্যামব্রিজে ভাষণ দিয়ে এলাম, জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ভাষণ দিয়েছিলাম। বাংলা মাধ্যমে পড়েই অনেক কষ্ট করে এমএ, বিএড, এলএলবি পাস করেছিলাম।’