চীনের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যেই যৌথ সামরিক মহড়া পরিচালনা করেছে জাপান ও যুক্তরাষ্ট্র।
চীন ও রাশিয়ার বিমান টহলের কয়েক দিনের মধ্যেই এই মহড়ার আয়োজন করল দুই মিত্র দেশ।
জাপানের জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ জানিয়েছেন, ১০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত এই যৌথ মহড়া দেশের চারপাশের ক্রমশ জটিল ও কঠিন নিরাপত্তা পরিবেশের প্রেক্ষিতে আয়োজন করা হয়েছে।
টোকিওর তথ্যানুযায়ী, এর আগের দিন রাশিয়ার দু’টি টিউ-৯৫ পারমাণবিক সক্ষম বোমারু বিমান জাপান সাগর থেকে উড়ে চীনের দু’টি এইচ-৬ বোমারুর সঙ্গে পূর্ব চীন সাগরে মিলিত হয়। এরপর তারা যৌথভাবে জাপানের চারপাশে ফ্লাইট পরিচালনা করে।
গত মাসে জাপানের প্রধানমন্ত্রী সানা তাকাইচি চীন-তাইওয়ান সংঘাতে জাপানের সামরিক হস্তক্ষেপের ইঙ্গিত দিলে বেইজিং ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানায়। দুই দেশের মাঝে কূটনৈতিক উত্তেজনা তখন থেকেই বাড়তে থাকে।
জাপান জানায়, মহড়ায় অংশ নেয়—যুক্তরাষ্ট্রের দু’টি বি-৫২ বোমারু বিমান, জাপানের তিনটি এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান।
বিবৃতিতে বলা হয়, বল প্রয়োগ করে কোনও দেশের একতরফা অবস্থান পরিবর্তনের প্রচেষ্টা বরদাস্ত করা হবে না— বিষয়টি পুনরায় নিশ্চিত করেছে দুই দেশ।
মহড়ার একদিন আগে চীনা জে-১৫ যুদ্ধবিমান দুটি জাপানি জেটের ওপর রাডার লক করলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়। আন্তর্জাতিক আকাশসীমায় ওকিনাওয়ার কাছে এই ঘটনা ঘটে বলে দাবি টোকিওর।
ওয়াশিংটন এ বিষয়ে প্রথমবার প্রকাশ্যে বেইজিংকে সমালোচনা করে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর জানায়— চীনের এমন আচরণ আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার অনুকূল নয়। যুক্তরাষ্ট্র–জাপান জোট আগের যেকোনও সময়ের চেয়ে দৃঢ়।
চীন বলছে, জাপানি যুদ্ধবিমানই আগে তাদের প্রশিক্ষণ অঞ্চলে অনুমতি ছাড়া অনুপ্রবেশ করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। সূত্র: রয়টার্স, ওয়াশিংটন পোস্ট, এনবিসি নিউজ, এএফপি
বিডি প্রতিদিন/একেএ