সম্প্রতি গোপনে ইসরয়েল সফর করেছেন তাইওয়ানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রাঁসোয়া উ।
বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট তিনটি সূত্র সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছে।
বেইজিংয়ের চাপের কারণে তাইওয়ানের সঙ্গে বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক কিছুটা গোপনীয়ই থাকে। প্রকাশ্যে তৎপরতা খুব একটা দেখা যায় না, কারণ বেইজিং তাইওয়ানকে তাদের একটি প্রদেশ হিসেবে মনে করে, কোনও স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় না।
অন্যান্য বেশিরভাগ দেশের মতো, ইসরায়েল কেবল আনুষ্ঠানিকভাবে বেইজিংকেই স্বীকৃতি দেয়, তাইপেইকে নয়। তবে তাইওয়ানের শীর্ষ কূটনীতিকরা প্রায়ই বিদেশ ভ্রমণ করলেও ইসরায়েলের মতো দেশে তাদের ভ্রমণের ঘটনা বেশ বিরল।
তাইওয়ান ইসরায়েলকে একটি গুরুত্বপূর্ণ গণতান্ত্রিক অংশীদার হিসেবে দেখে এবং ২০২৩ সালের অক্টোবরে দক্ষিণ ইসরায়েলে হামাসের আক্রমণ এবং পরবর্তীকালে গাজায় যুদ্ধের পর থেকেই দেশটিকে দৃঢ় সমর্থন করে যাচ্ছে এবং তারপর থেকে তাদের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
বিষয়টির সংবেদনশীলতার কারণে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেশ কিছু সূত্র সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে ফ্রাঁসোয়া উ ইসরায়েলে গিয়েছিলেন। আরও দুটি সূত্র জানিয়েছে, তার এই সফর চলতি মাসেই হয়েছে।
তবে এই সফরে কাদের সঙ্গে তার সাক্ষাৎ হয়েছে বা কী আলোচনা হয়েছে তার বিশদ বিবরণ দেওয়া হয়নি। এমনকি তিনি তাইওয়ানের নতুন বহু-স্তরযুক্ত বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা টি-ডোম সম্পর্কেও কথা বলেছেন কি না সে বিষয়টিও নিশ্চিত নয়। তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট লাই চিং-তে গত অক্টোবরে এই বিষয়টি উন্মোচন করেন, যা আংশিকভাবে ইসরায়েলের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার আদলে তৈরি হবে।
এদিকে ফ্রাঁসোয়া উ ইসরায়েল সফর করেছেন কি না সে বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে তাইওয়ানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তাইওয়ান এবং ইসরায়েল স্বাধীনতা এবং গণতন্ত্রের মূল্যবোধ ভাগাভাগি করে এবং বাণিজ্য, প্রযুক্তি এবং সংস্কৃতির মতো ক্ষেত্রে বাস্তবসম্মতভাবে পারস্পরিক বিনিময় এবং সহযোগিতা প্রচার অব্যাহত রাখবে।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও এই মন্তব্যের অনুরোধের কোনও জবাব দেয়নি। সূত্র: রয়টার্স, টাইমস অব ইসরায়েল, জাপান টাইমস
বিডি প্রতিদিন/একেএ