পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান আদিয়ালা কারাগারে দুঃসহ অবস্থায় আছেন বলে অভিযোগ করেছে তার পরিবার। মঙ্গলবার কারাগারের সামনে জড়ো হয়ে তার বোন আলিমা খান জানান, আট মাস ধরে তারা প্রতি মঙ্গলবার এসে বসে থাকেন, কিন্তু ইমরান খানের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয় না। তার অভিযোগ, ‘ইমরান খানকে অবৈধভাবে নিঃসঙ্গ বন্দি রাখা হয়েছে। এটি এক ধরনের নির্যাতন।’
কারাগারের সামনে হওয়া এ বিক্ষোভে বেশ কয়েকজন পিটিআই কর্মীও যোগ দেন। তারা ইমরান খানের নিরাপত্তা ও শারীরিক অবস্থার বিষয়ে উদ্বেগ জানান। ইমরান খান বিভিন্ন মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে কয়েক মাস ধরে এ কারাগারেই আটক আছেন।
বিক্ষোভ ঘিরে কারাগারের আশপাশে কড়া নিরাপত্তা ছিল। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ায় আন্দোলনে পিটিআইয়ের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ—সচিব জেনারেল সালমান আকরাম রাজা এবং খাইবার পাখতুনখাওয়ার প্রধান জুনায়েদ আকবর খানও—যোগ দেন। তাদের অভিযোগ, আদালত মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবার সাক্ষাতের অনুমতি দিলেও কারা কর্তৃপক্ষ বারবার দেখা করতে দিচ্ছে না।
এদিকে ২ ডিসেম্বর প্রায় এক মাস পর ইমরান খানের বোন উজমা খানুম মাত্র ২০ মিনিটের জন্য তার সঙ্গে দেখা করতে পেরেছিলেন। পরে সাংবাদিকদের তিনি জানান, ইমরান খান শারীরিকভাবে মোটামুটি ভালো থাকলেও মানসিক চাপের মধ্যে আছেন। তার ভাষ্য, ইমরান খান মনে করেন তাকে ‘মানসিক নির্যাতন’ করা হচ্ছে।
তবে সেনাবাহিনী এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা বলছে, ইমরান খান নিজেই মানসিকভাবে অস্থির এবং অতিরিক্ত আত্মমগ্ন (নারসিসিস্টিক—নিজেকে কেন্দ্র করে ভাবা) আচরণ করছেন।
উজমার ওই মন্তব্যের পর সরকার নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। আইনমন্ত্রী আজম নাজির তারার জানান, সাক্ষাতে নাকি রাজনৈতিক আলোচনা হয়েছে—যা কারা বিধির বিরোধী। তাই উজমাসহ পরিবারকে ভবিষ্যতে দেখা করার অনুমতি দেওয়া হবে না।
ঘটনাপ্রবাহে পিটিআই সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছে। তারা ইমরান খানের প্রকৃত অবস্থা যাচাইয়ের দাবি জানিয়ে আসছে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল