ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) বিরুদ্ধে সীমান্ত এলাকায় মানুষের ওপর অত্যাচারের অভিযোগ তুলেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। কেন্দ্রীয় বাহিনীর সেই আচরণ রুখতে এবার প্রয়োজনে নারীদের সামনে দাঁড় করানোর হুঁশিয়ারিও দেন তিনি।
কোচবিহারের রাসমেলা ময়দানে মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) এক জনসভায় মমতা বলেন, এসআইআর’র (বিশেষ নিবিড় সংশোধন) নামে নির্বাচন কমিশন রাজ্য সরকারের ওপর বাড়তি চাপ দিচ্ছে।
তিনি অভিযোগ করেন, ‘পুলিশের দরকার নেই, তা সত্ত্বেও এক কোটি পুলিশ পাঠাবে। থাকার–খাওয়ার খরচ রাজ্য সরকার দেবে, আর গুলি চালাবে কেন্দ্র। সীমান্তে গিয়ে মানুষকে অত্যাচার করবে। আপনারা ভয় পাবেন না—প্রতিটি এলাকায় মানুষ জোট বাঁধুন। বিএসএফ যদি অত্যাচার করে, মেয়েদের এগিয়ে দিন। আমি দেখতে চাই মা–বোনেদের ক্ষমতা বড় নাকি বিজেপির ক্ষমতা বড়।’
সম্প্রতি বাংলাদেশের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে ভারতে ফেরা বীরভূমের সোনালী বিবির ঘটনা তুলে ধরে মমতা বলেন, ভারতীয় নথি থাকা সত্ত্বেও তাকে ও তার পরিবারকে বিএসএফ বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিয়েছিল। আমরা তাকে কারাগার থেকে বের করে এনেছি, আরও চারজনকে ফিরিয়ে আনব।
বিজেপিকে লক্ষ্য করে মমতা স্পষ্ট জানান, পশ্চিমবঙ্গে কোনো অবস্থাতেই এনআরসি বা ডিটেনশন ক্যাম্প হবে না। তিনি বলেন, ‘হিন্দু, রাজবংশী, তফশিলি, আদিবাসী, বৌদ্ধ, সংখ্যালঘু—সবাই আমার গলার মালা। কাউকে বিভেদ করতে দেব না।’
বিজেপি সরকারকে স্বৈরাচারী ও দুর্নীতিগ্রস্ত আখ্যা দিয়ে মমতা অভিযোগ করে বলেন, কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলোকে বিজেপির ‘হাতের পুতুলে’ পরিণত করা হয়েছে। তার দাবি, ‘বাংলা রক্ষা হলে তবেই দেশ রক্ষা হবে; না হলে সংবিধান থেকে বিচারব্যবস্থা—সবই শেষ হয়ে যাবে।’
এছাড়া কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন শ্রম আইনকেও ‘অসম্মানজনক’ বলে উল্লেখ করেন তিনি। ১০০ দিনের কাজের অর্থপ্রদান সংক্রান্ত শর্তের প্রতিবাদ জানাতে মঞ্চে দাঁড়িয়ে সেই নথি ছিঁড়ে ফেলেন তৃণমূল প্রধান।
বিডি-প্রতিদিন/মাইনুল