বেশ কয়েক মাস ধরে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভেনেজুয়েলার চলা উত্তেজনা চরম আকার ধারণ করেছে। মাদক পাচারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের নামে তেল উৎপাদনকারী দেশটির ওপর ব্যাপক হারে সামরিক চাপ বাড়িয়েছে ওয়াশিংটন।
যে কোন সময় ভেনেজুয়েলায় সামরিক অভিযান চালাতে পারে মার্কিন প্রশাসন। তবে সহজে হার মানতে নারাজ ভেনেজুয়েলা। যুক্তরাষ্ট্রের সকল অভিযোগ অস্বীকার করে সার্বভৌমত্ব রক্ষায় যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো।
স্থানীয় সময় শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সামরিক বাহিনীর শক্তি বাড়াতে নতুন করে ৫ হাজার ৬০০ সেনা মোতায়েন করেছে দেশটি। সরকারি পরিসংখ্যানের বরাতে আরব নিউজ জানায়, ভেনেজুয়েলায় প্রায় দুই লাখ সেনা এবং দুই লাখ পুলিশ কর্মকর্তা রয়েছে।
কারাকাসে ভেনেজুয়েলার বৃহত্তম সামরিক কমপ্লেক্স ফুয়ের্তে তিউনাতে এক অনুষ্ঠানে দেশটির শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা কর্নেল গ্যাব্রিয়েল রেন্ডন অভিযোগ করেন, মার্কিন সামরিক চাপ মূলত তাকে উৎখাত করার জন্য। সেই সাথে দেশের তেলের মজুদ দখল করার জন্য। কোনো পরিস্থিতিতেই আমরা সাম্রাজ্যবাদী শক্তির আক্রমণ মেনে নেব না।
আরব নিউজের খবরে বলা হয়, মাদক পাচার হচ্ছে এমন অভিযোগ এনে ক্যারিবীয় অঞ্চলে বহু জাহাজে ২০টিরও বেশি বড় ধরনের হামলা চালিয়েছে ওয়াশিংটন। গত কয়েক মাস ধরে চলা এসব হামলায় এ পর্যন্ত প্রাণ গেছে ৮৭ জনের। মাদক পাচারের অভিযোগে ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে মাদুরোকেও দায়ী করা হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/কামাল