চলমান উত্তেজনায় কয়েক মাস ধরে পাকিস্তান ও আফগানিস্তান সীমান্তে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে বন্ধ হয়ে পড়েছে চামান সীমান্ত। সীমান্ত বন্ধ থাকায় দুই পাশে আটকা পড়ে আছে শত শত ট্রাক। সেই সঙ্গে বর্ডার ক্রসিং দিয়ে পণ্যবাহী যান চলাচলে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
সংবাদমাধ্যম ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক উত্তেজনা বৃদ্ধি এবং বারবার লড়াইয়ের কারণে পাকিস্তান-আফগানিস্তানের মধ্যে ২ হাজার ৬৪০ কিলোমিটার সীমান্ত প্রায় দুই মাস ধরে বন্ধ রয়েছে। এতে ঝুঁকির মুখে পড়েছে ২০ কোটি ডলারের ওষুধ বাণিজ্য। ভয়াবহ ওষুধের ঘাটতির হুমকিতে রয়েছে আফগানিস্তান।
কয়েক দশক ধরে আফগানিস্তান তাদের নিজস্ব ওষুধের খুব কম অংশই উৎপাদন করেছে। দেশটির চাহিদার ৭০ ভাগেরও বেশি ওষুধ আসে পাকিস্তান থেকে। বর্তমানে ভারতসহ অন্যান্য দেশ থেকে ওষুধ কিনে চাহিদা মেটানোর চেষ্টা করছে তালেবান সরকার। চলতি সপ্তাহে ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ১০ কোটি ডলারের চুক্তিও করেছে তারা।
এদিকে দুইদিন আগেই সৌদি আরবে নতুন করে শান্তি আলোচনায় বসেছিল পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের প্রতিনিধি দল। আলোচনায় উভয় পক্ষ যুদ্ধবিরতি মেনে চলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। অকচ দুইদিনের মাথায় আবারও অশান্ত হয়ে পড়ে পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্ত।
তালেবান সরকারের দাবি, গত শুক্রবার মধ্যরাতে কান্দাহার প্রদেশে প্রথম হামলা চালায় পাকিস্তান। একই দাবি করে পাকিস্তান জানিয়েছে, আফগানিস্তানের সেনারা প্রথমে চামান সীমান্তে বিনা উসকানিতে গোলাগুলি শুরু করে।
অক্টোবরে মারাত্মক সীমান্ত সংঘর্ষের পর উত্তেজনা প্রশমনের জন্য ধারাবাহিক বৈঠকের উদ্যোগ নেয় কাতার, তুরস্ক এবং সৌদি আরব। দফায় দফায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হলেও তা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি।
বিডি প্রতিদিন/কামাল