পাকিস্তান ও আফগানিস্তান সীমান্তে শান্তি আলোচনার ব্যর্থতার পর আবারও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সীমান্তে দুইপক্ষের মধ্যে গোলাগুলি চলে, যাকে দুই মাস আগে স্বাক্ষরিত স্থায়ী যুদ্ধ বিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের ঘটনা হিসেবে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় অন্তত চার জন নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন।
কান্দাহারের এক মেডিকেল কর্মকর্তা জানান, নিহতদের দেহ স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। আফগানিস্তানে আরও চারজন আহত হয়েছেন, পাকিস্তানে আহত হয়েছেন তিনজন।
পাকিস্তানের স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাদিক দাবি করেছেন, গুলি আফগানিস্তান থেকে শুরু হয় এবং পাকিস্তানি সেনারা চমন সীমান্তে পাল্টা গুলি চালায়। সংঘাতের কারণে আফগানিস্তানের স্পিন বল্দাক শহরের বাসিন্দারা নিরাপত্তার জন্য পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী দফতরের মুখপাত্র আফগান বাহিনীকে “অপ্রত্যাশিত হামলা” চালানোর অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেন, পাকিস্তান সম্পূর্ণ সতর্ক এবং নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে আফগান সীমান্ত পুলিশ বলেছে, পাকিস্তানি বাহিনী প্রথমে একটি হ্যান্ড গ্রেনেড ছুঁড়ে হামলা চালায়, যার জবাবে তারা প্রতিক্রিয়া দেখায়।
তালেবানের মুখপাত্র জবিহুল্লাহ মুজাহিদ জানান, পাকিস্তানি বাহিনী স্পিন বল্দাকে হামলা চালিয়েছে। তিনি লিখেছেন, “দুর্ভাগ্যবশত, আজ সন্ধ্যায় পাকিস্তানি বাহিনী আবার আফগানিস্তানে হামলা চালিয়েছে, যার জবাবে ইসলামী আমিরাতের বাহিনী প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে।”
সূত্র: বিবিসি পাশতো, ইন্ডিপেন্ডেন্ট
বিডি প্রতিদিন/আশিক